মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥
রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় হাত হারানোর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া পটুয়াখালীর বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের কৃতিসন্ত্রান ঢাকা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হাসানের পরিবারকে ১কোটি টাকা ক্ষতিপূরন দেয়ার হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি রাজিবের পরিবার। রায় ঘোষনার পর মঙ্গলবার দুপরে উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের বাড়ীতে ছোট মামা মিরাজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আদালতের রায়ের আমরা খুশী।
তবে এসময়ে রাজীবের মামা মিরাজ আক্ষেপ করে বলেন, জেলা প্রশাসক থেকে চল্লিশ হাজার টাকার চেক পেয়েছে রাজীবের ছোট দুই ভাই। এরপর থেকে আর কোন সহযোগিতা করা হয়নি। এমনকি যারা অনেক কিছু প্রতিশ্রতি দিয়েছিল তাদেরকেও এখন আর খুঁজে পাওয়া যায়না। রাজীবের পরিবারের পাশে এখন আর কেই নেই। বাড়ীতে দুই ভাইয়ের মাথা গোজার মতো কোন ঠাই না খাকায় রাজীবের দুই ছোট ভাইয়ের স্থান এখন ঢাকা একটি হাফেজি মাদরাসায় এতিম খানা। মাঝে মাঝে খালা জাহানারা পারভীনের বাসায় আশ্রায় নিয়ে থাকেন। ক্ষতিপুরনের এই অর্থ পেলে এতিম অসহায় ছোট দুই ভাইকে নিয়ে রাজীব যে স্বপ্ন দেখেছিল তা পুরন হবে।
উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল দুই বাস চালকের বেপরোয়া গাড়ী চালানো শিকার হন রাজীব। দুই বাসের চাপে হাতকাটা পড়ে রাজীবের। মাথায় প্রচন্ড রক্তক্ষনের ফলে ১৬ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে রাজীব মারা যান। মঙ্গলবার (৮মে) হাইকোটের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আদালতে রাজীবের দুই ভাই মেহেদী হাসান ও আবদুল্লাহ এবং তাদের খালা জাহানারা পারভীন ও মামা জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।