নয়াদিল্লী :: পাকিস্তান থেকে এ দেশে শরণার্থী হয়ে আসা এক হিন্দু মেয়েকে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে নিয়ম শিথিল করল দিল্লি সরকার। দু বছর আগে ১৭ বছরের মধু নামে মেয়েটি ধর্মীয় বৈষম্যের জেরে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসে। সঙ্গে তার মা, ভাইবোনেরা, কাকা ও অন্য পরিজনেরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় নথি, কাগজপত্র না থাকায় দিল্লির সঞ্জয় কলোনির কো-এড সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাস নাইনে মধুকে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেয়নি। প্রথমে দিল্লি সরকার, তারপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চিঠি লিখে তাঁর হস্তক্ষেপও চায় সে। মাসের পর মাস কেটে যায়।
সংবাদমাধ্যমে মধুর জ্ঞানান্বেষণের বাসনার কথা জানার পর বিষয়টি কেজরীবালের গোচরে আনেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
মধুর আর্জি মেনে নিয়ে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া বলেন, এক অদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে মেয়েটির কাছে স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট বা বার্থ সার্টিফিকেট, কিছুই নেই। ও পড়তে চায়। আমার অভিমত, মানবিকতার খাতিরে ওকে স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে আমাদের বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া উচিত। নিয়মবিধি যদি এক্ষেত্রে বাধা হয়ে ওঠে, তবে সরকার তা শিথিল করতেই পারে।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, সঞ্জয় কলোনি ছাড়াও আশপাশের যে কোনও সরকারি স্কুলে মধুকে অবিলম্বে ভর্তি করা হতে পারে। ওকে প্রয়োজনীয় বইপত্র, ইউনিফর্ম দেওয়া হবে। আমাদের স্কুলে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করতে পারি আমরা।
by