ডেস্ক,১৩ জুলাই:
সারাদেশে বজ্রপাতে ১২জন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে পাবনার বেড়া উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজন। সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলায় বাবা ও ছেলেসহ দু’জন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় তিনজন। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় একজন। নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা একজন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় একজন।
দুপুরের দিকে পাবনার বেড়া উপজেলায় বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামের কৃষক মোতালিব সরদার (৫০), তার দুই ছেলে শরিফ সরদার (১৭) ও ফরিদ সরদার (২০) এবং প্রতিবেশী রহম প্রামানিক (৬০)।
পাবনা বেড়া থানার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে বেড়া উপজেলার পাঁচুরিয়া গ্রামে একটি পুকুরে পাট পরিষ্কার করার সময় বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৌলাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মৃত মিরাজ আলীর ছেলে হারিদুল (৪৫) ও তার ছেলে তারা মিয়া (১০)।
তাহিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বিকেলে বজ্রপাতে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই ট্রাকে কলা বোঝাই করছিলেন বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন- আলফাডাঙ্গা উপজেলার মেহেরপুরের বারাদি ইউনিয়নের মকবুলের ছেলে আল আমিন (৩০), গোলাম রসুলের ছেলে হুদা (৩২) ও মো. বরকতের ছেলে হামিদুল (৩৫)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সোনিয়া আহমেদ বলেন, বজ্রপাতে গুরুতর আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় দুপুরে বজ্রপাতে চৈইত কোচ (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়বিলা বিলে চৈইত ও তার বড় ভাই মনু বর্মন মাছ শিকার করছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই চৈইতের মৃত্যু হয়। এ সময় মনু আহত হয়েছেন।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেত্রকোণায় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
ইউইপ সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, সকালে গরুকে ঘাস খাওয়াতে মাঠে নিয়ে যাচ্ছিলেন এনামুল হক। পথে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বজ্রপাতে দুরুল হুদা (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজম বলেন, সকালে মাঠে ধান লাগানোর কাজে যান দুরুল। বিকেলে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।