নিজস্ব প্রতিবেদক,১৪ ডিসেম্বর:
প্রাথমিক শিক্ষকরা এখনো ১৩তম গ্রেডে বেতন না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।
সোমবার প্রাথমিকের ডিজি বলেন, ‘১৩ তম গ্রেড আইবাস ++ (ইন্ট্রিগ্রেটেড বাজেট এন্ড একাউন্টিং সিস্টেম) এ আটকে থাকার বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমি আজই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। আমি যতদূর জানি প্রোগ্রামিংয়ে সমস্যা হওয়ায় বিষয়টি আটকে ছিলো। কিন্তু এতোদিন এটি আটকে থাকার কথা নয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করবেন বলে তিনি আশ্বাসও দেন।’
জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর দীর্ঘ ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন গ্রেডে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক এখনো বেতন ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারের কাছে আমরা ১১তম গ্রেডে বেতন দাবি করেছি। এরপর ১৩তম গ্রেড পেয়েছি। অথচ আজও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রজ্ঞাপন জারির পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে এটি বাস্তবায়ন করতে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কাছে ফাইলটি পাঠানো হয়। হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এটি অনুমতি প্রদান করার পর ‘আইবাস++’ সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) নাজমা মোবারক সোমবার বলেন, ‘আমরা অনলাইন প্লাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করে দিচ্ছি। দু’দিন আগে মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন শাখা থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা খুব শিগগিরই ১৩ তম গ্রেডের বেতন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারা দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক আছেন। তাদের ৬০ শতাংশই নারী। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতনে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু আইবাস ++ এ আটকে থাকায় দীর্ঘ ১০ মাস পার হলেও এখনো ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল