ডেস্ক: খাবারটা যে নিয়ম মেনে খেতে হয় তা অনেকেই মনে করেন না। ইচ্ছামতো খাওয়ার ফলে শরীরটা যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সেদিকেও খেয়াল থাকে না। ফলে শরীরকে নিয়ন্ত্রিত ওজনের মধ্যে বেঁধে রাখাটা দারুণ এক চ্যালেঞ্জ। তবে এটা অসম্ভব কিছু নয়, কিছু নিয়ম পালন করলে সহজেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, হওয়া যায় স্লিম ফিগারের অধিকারী।
পূর্বপরিকল্পিত খাবার : ওজন কমানোর পরিকল্পনা থাকলে বাইরের খাবার খাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কেননা এখন আপনার খাবারের মেন্যুটা আর আগের মতো নেই। অনেকটা বাছবিচার করতে হয়। বাইরের খাবারে অনেক সময় ক্যালরির বিষয়ে অতটা গুরুত্ব দেওয়ার সময় থাকে না। তা ছাড়া এসব খাবারে চিনি বা লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। সে কারণে বাইরে খাবার খেতে হলে আগে থেকে পরিকল্পনা রাখতে হবে, বুঝেশুনে খাবার খেতে হবে।
সহযোগী : ওজন কমানোর লড়াই নিজেরই লড়াই। নিজের খাওয়ার অভ্যাসের বিপক্ষে মূলত এ লড়াই। এ লড়াইয়ে সহযোগী হিসেবে কাউকে পাওয়া লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক। এ কারণে কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই পরিবারের সদস্য, বন্ধু, ডাক্তারকে সহযোগী হিসেবে নেওয়া দারুণ কার্যকর।
নিজেকে বঞ্চিত না করা : পছন্দের খাবার থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। যত বেশি বঞ্চিত করা হবে, ততই পছন্দের খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। সে কারণে হঠাৎ করেই পছন্দের খাবার- যেমন পিৎজা বা চকোলেটকে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ঠিক নয়। বরং পছন্দের এসব খাবার খাওয়া যেতে পারে, তবে পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। বেশি পরিমাণে না খেয়ে বরং অল্প খাওয়া যেতে পারে।
ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকা : অনেক সময় দেখা যায় ক্ষুধা অনুভব করলে দ্রুত ফাস্ট ফুড খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। বরং ক্ষুধা নিবারণের জন্য বাদাম, বিভিন্ন ধরনের ফল সঙ্গে রাখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এক বোতল পানিও রাখা ভালো।