স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ারের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের পুরানবাজার এলাকায় গোলাম সরোয়ারের বাসা তালাবদ্ধ থাকায় বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মার্জিন আরা মুক্তা। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় দুপুরে তিনি বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন।
আরো পড়ুন: এক অ্যাকাউন্ট দিয়ে একাধিক প্রোফাইল ব্যবহার করা যাবে ফেসবুক
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানবাজার এলাকার পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ারের বাসা তালাবদ্ধ এবং বাসার অপর প্রান্তে একটি সার বীজের দোকানে বসে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছেন মার্জিন আরা মুক্তা। পরে জুমার নামাজের সময় হলে তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে গোলাম সরোয়ারের তালাবদ্ধ বাসার সামনে বসে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন।
পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বাসার দরজা খুলে ভেতরে যেতে বললে তিনি বলেন, এটা গোলাম সরোয়ারের প্রথম স্ত্রীর বাসা, এখানে ঢুকবেন না। পরে ইজ্জত হানি হচ্ছে, এমন বুঝিয়ে তাকে ধরে বাসার ভেতরে প্রবেশ করান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মার্জিন আরা মুক্তা দীর্ঘদিন পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ওই সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ সময়ে বরিশাল উপজেলা কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা বলেন, ‘এখন আমাদের দুজনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি আমার যুদ্ধ চালাচ্ছি, আমার সম্মান বাঁচানোর।
গোলাম সরোয়ার যুদ্ধ চালাচ্ছে আমাকে এড়িয়ে যাওয়ার। তার বিয়ের আগেই বিবেচনা করা উচিত ছিল কিন্তু সে তা করেনি। তার সেই দায়বদ্ধতা মেনে নিয়ে আমি এতদিন প্রতিটা সেকেন্ড অপেক্ষা করেছি, যার কোনো মূল্যায়ন তার কাছে নেই। আর এ মূহুর্তে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে তার স্বীকৃতি আমার অত্যন্ত প্রয়োজন। যদি তা না দেয়, এ ব্যর্থ জীবন নিয়ে আমি সামনে টানব না— এই হচ্ছে মূল মেসেজ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি এখানে থাকাবস্থায় বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই এবং বিয়ে হয়েছে তা সত্যি। এখন যে অবস্থায় আছি, তাতে তারও সম্মান যাচ্ছে, সেই সঙ্গে আমারও যাচ্ছে; কিন্তু তাতে কিছু করার নেই।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘সে দরজা বন্ধ করে রেখেছে, যাতে আমি ঢুকতে না পারি, গত পরশু দিনও তাই করেছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বলেন, মুক্তা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। এক বছর চার মাস আগে আমার বোনের মধ্যস্থতায় আমাদের বিয়ে হয়েছে।
আমি খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়েছি, তাই বাসা বন্ধ পেয়ে সে সামনে দাঁড়িয়েছিল। এ ব্যাপারটি নিয়ে আপনার কিছু না করলেই ভালো হয়, এটি আমার পারিবারিক বিষয়।