ডাঃ এস কে দাস,এমএসসি, ডিএইচএমএস ঃ সিফিলিস হল একধরনের যৌণ-বাহিত সংক্রমন। এর মূলে আছে একধরনের ব্যাক্টেরিয়া যার নাম হল Treponema pallidum। সিফিলিস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষের সংক্রমন হয় সেক্স করবার সময়। যদি কারও সিফিলিস ফুশকুড়ি থাকে তবে তার সাথে শারিরিক স্পর্শ হলেও সিফিলিস হতে পারে। রক্ত আদান-প্রদান এর মাধ্যমেও সিফিলিস হতে পারে। একজন গর্ভবতী মহিলার সন্তানও সিফিলিস এ আংক্রান্ত হতে পারে। একে বলা হয় জন্মগত সিফিলিস।
যেভাবে ছড়ায় :-
আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনিরাপদ যৌনমিলনে , রোগাক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত শরীরে গ্রহন করলে , আক্রান্ত মা যে শিশুর জন্ম দেয় যেই শিশু আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনেকক্ষণ শারীরিক সং¯পর্শে থাকলে, আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনেকক্ষণ চুমু খেলে,আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে । মনে রাখবেন, এই রোগ কখনই খাওয়ার পাত্র, চামচ, গামছা বা টাওয়েল, ন্যাপকিন, সুইমিং পুল, বাথটাব, কিংবা ব্যবহৃত জামাকাপড় দিয়ে ছড়ায় না।
রোগের সুপ্তিকাল :-
নয় থেকে নব্বই দিন পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ জীবাণু দেহে প্রবেশে পর রোগের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিতে উল্লেখিত সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে সাধারণত ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয়।
রোগের জটিলতা কি কি :-
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বলে ৩০ শতাংশ মেয়াদি সিফিলিস প্রাকৃতিভাবেই ভালো হয়ে যায়। তবে মেয়াদি সুপ্ত অবস্থায় তা জীবনব্যাপী থাকতে পারে যার সংখ্যাও মোটামুটিভাবে ৩০ শতাংশে রকম নয়। এর বাইরেও ১৫ শতাংশ গামা হিসেবে দেখা দেয় অর্থাৎ এক্ষত্রে রক্তনালী তথা ধমনীতে প্রদান এবং বদ্ধতা সর্বোপরি কোষ মৃত্যু দেখা দেয় যার ফলে স্থানটি ফুলে ওঠে সেটাই হলো গামা।
কি কি চিকিৎসা রয়েছে :-
এই রোগটি এতই ভয়ঙ্কর যে চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে মারাতœক পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। আর এ রোগটি এমনই যে মানুষ এর কথা গোপন করেই রাখতে চায়। আর এর বেশি ভুক্তভোগী হয় মেয়েরা। কারন তারাই বেশি রোগ গোপন করে রাখতে পছন্দ করে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা :-সিফিলিস চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিতেও রয়েছে সবচেয়ে কার্যকর এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ঔষুধ যেগুলো রোগটির যাবতীয় যন্ত্রনাদায়ক সব উপসর্গগুলো নির্মূল করে খুব দ্রুত আরোগ্যের দিকে নিয়ে যায়। হোমিওপ্যাথি যেহেতু রোগের রুট লেভেল থেকে কাজ করে তাই যে কোন রোগ একবার ভালো হওয়ার পর তা আর পূনরায় দেখা দেয় না। ভুল করেও রোগ নিয়ে বসে থাকবেন না। সিফিলিসে আক্রান্ত হলে কোন প্রকার সংকোচ না করে একজন ভাল একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন। দেখবেন অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনি আবার স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন উপভোগ করতে পারছেন। ভাল থাকবেন। আপনাদের সুখী এবং সুন্দর জীবনই আমার কাম্য।
ডাঃ এস কে দাস, এম.এসসি, ডিএইচএমএস, ০১৮১১৮৯৮০৬১