এস কে দাস: চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্ত ঘেঁষা ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একমাত্র শিল্প শহর দর্শনা। এশিয়া মহাদেশের ২য় বৃহত্তম কেরুজ চিনিকল ও ডিস্টিলারি কমপ্লেক্স, একটি আন্তর্জাতিকসহ দুটি রেলস্টেশন, স্থলবন্দর ইয়ার্ড, কাস্টসম সার্কেল কার্যালয়, চেকপোস্ট, সরকারি কলেজ, উপজেলা পশু হাসপাতাল, ১০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কিন্ডারগার্টেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য লিটিল এনজেলস ইন্টাঃ স্কুল। ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে- দর্শনা মেমনগরে জমিদার নফর পাল চৌধুরীর বাড়ি, নীলকুঠির, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ক্ষেতেও দর্শনার গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম।
দর্শনায় সবকটি রাজনৈতিক দলের জেলার শীর্ষ নেতাদের অবস্থান। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, জেলা প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদসহ সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন গুনিজনদের বাস দর্শনাতে। ১৯৯১ সালের ২৭ নভেম্বর দর্শনাকে পৌরসভায় রূপ দেয়া হয় । ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত হয় পৌরসভার প্রথম নির্বাচন। নির্বাচিত হন প্রয়াত আক্তারুল ইসলাম আক্তার। তারপর মতিয়ার রহমান এবং সর্বশেষ বর্তমান মেয়র মহিদুল ইসলাম। এত কিছুর পরও নেই কোন উন্নয়ন দর্শনাবাসীর।
আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা মহিদুল ইসলাম, সাবেক মেয়র, দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, দর্শনা পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহারুল ইসলাম , জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী জামায়াত নেতা আশকার আলী।
কিন্তু কে সেই যোগ্য প্রার্থী। প্রথম চেয়ারম্যান আক্তারুল ইসলাম আক্তারকে বাদ দিলে বাকীদের নামে নেই কোন উন্নয়নের তালিকা। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন একটি পরিকল্পনা। এই ছোট্র পৌরসভাকে এতদিনে সাজিয়ে ফেলার কথা। কিন্তু কিছুই হয়নি। সবাই তাদের নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। পৌরসভার বাৎসরিক যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তা দিয়েই পৌরসভাকে সাজিয়ে ফেলা যায় যদি থাকে সঠিক পরিকল্পনা। আর তাই সবার আগে সেই পরিকল্পনাগুলোকে জানাতে হবে সাধারন মানুষের মধ্যে। সাধারন মানুষ সেগুলোকে বিশ্লেষন করবে তারপর প্রার্থী বাছায় করবে । তবে সবথেকে এগিয়ে থাকবে আওয়ামী লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু। কারন তিনি নির্বাচনেে একেবারে নতুন। অন্য সকল প্রার্থী সম্র্পকে জনগন অবগত। তাই দেখার বিষয় কে সেই আমাদের যোগ্য প্রার্থী।