ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন: সর্বনিম্ন বয়স ৯ বছর নির্ধারণ

Image

ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনে সর্বনিম্ন বয়স নয় বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ বছর। শিক্ষানীতি অনুযায়ী ৯ বছর পূর্ণ না হলে বা ১৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে ছয় বছরের বেশি বয়সে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কথা আছে। সে হিসেবে নয় বছর কেনো ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারিত হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু শিক্ষক-অভিভাবক।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ জানান, ছয় বছর পূর্ণ হওয়ার পর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বিধান যে বছর প্রথম চালু হয়েছিলো সেই শিক্ষার্থীরা এখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। কিন্তু তার আগে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়াদের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে বয়স নির্ধারিত ছিলো না। ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনে তাই সর্বনিম্ন বয়সসীমা কিছুটা শিথিল রাখা হয়েছে। তবে এখন যারা চতুর্থ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবেন তখন ছয় বছরে প্রথম শ্রেণি বিবেচনায় নিয়ে সেভাবেই বয়স নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, প্রথমবারের মতো ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই প্রথমবারের মতো শিক্ষা বোর্ডে নিবন্ধিত হচ্ছেন। গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আগামী ৩০ রেজিস্ট্রেশন চলবে।

জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে নিবন্ধিত হতে শিক্ষার্থীর বয়স ৯ বছরের বেশি হতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। পাঠদানের অনুমতিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে না।

গত মঙ্গলবার ঢাকা বোর্ড থেকে প্রকাশিত রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করা যাবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে। শিক্ষানীতি অনুযায়ী ৯ বছর পূর্ণ না হলে বা ১৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না।

বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করার জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যরা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর ফাইনাল সাবমিট দিতে হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল ত্রুটি হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করতে পারবে স্কুলগুলো।

বোর্ড জানিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইএসআইএফ পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোন সমস্যা হলে এর দায় দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বহন করতে হবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।