জেলার পৌর শহরের কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ দাসকে চেয়ার দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী আকাশ দাসের পিতা নিপেন্দ্র দাস মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ দাস কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ের বাথরুমে যায়। এ সময় বাথরুমের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী দুষ্টুমি করছিল। এ সময় আকাশ বাথরুম থেকে বের হয়ে সহপাঠীদের কাছে আসে। তখন বিদ্যালয়ের কলেজ শাখার ইংরেজি প্রভাষক আব্দুস ছাত্তার প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আকাশকে মারেন। এ সময় আকাশ বাঁ হাত দিয়ে আঘাত প্রতিহত করতে চাইলে কনুইয়ে আঘাত পায়। পরে তার সহপাঠীরা তাকে শহরের লাইফ লাইন হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এক্সরে করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে আকাশের সহপাঠীরা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই সাত্তার স্যার মারধর করেছেন।
আহত আকাশের পিতা নিপেন্দ্র দাস বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করলে শিক্ষক শাসন করবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাত্তার স্যার কোনো কারণ ছাড়া আমার ছেলেকে মারধর করেছেন। এতে তার কুনই ফেটে গেছে। তদন্তপূর্বক আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, পাঠদান চলাকালীন সময়ে বাইরে শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে কথা বলছিল। একপর্যায়ে ধমক দিলে হয়তোবা আকাশ দাস কোথাও আঘাত পেয়েছে। তবে আমি তাকে মারধর করিনি।
পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাশীনাথ আলাউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজর সহকারী শিক্ষক লক্ষী কান্ত দেব বলেন, আকাশকে শিক্ষক মারেননি। সে বাথরুমে পড়ে আঘাত পেয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখেছি। কী ঘটেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।