শিক্ষক প্রশিক্ষণের তারিখ পরিবর্তন যে কারনে

Image

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষা প্রশাসনের। শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাদের অভিযোগ, কোচিং সংশিষ্ট শিক্ষকরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণে কোচিং সংশ্লিষ্ট কেউ যেনো অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

গতকাল মঙ্গলবার প্রশিক্ষণ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

জানা গেছে, আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেণি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রথম পর্যায়ে ইআইআইএন-ধারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অপরদিকে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ইআইআইএন-বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরুর কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। জানুয়ারি মাসে সুবিধাজনক সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।

অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সব মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ প্রশিক্ষণের প্রথম পর্যায়ে ইআইআইএন-ধারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ইআইআইএন-বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ পাবেন। ইআইআইএন-ধারী বা ইআইআইএন-বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক বছরের বেশি সময় কর্মরত শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পাবেন।

স্কিম পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আলী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কিমে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। আর  বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান বা মাদরাসার বিশেষায়িত বিষয়গুলোর শিক্ষকরা এ তালিকা অন্তর্ভুক্ত হবেন না। অপরদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দিতে শিক্ষকদের তথ্য ও তালিকা ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে স্কিনে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে,  প্রশিক্ষার্থী শিক্ষকদের তথ্য ও তালিকায় কোনোক্রমেই যেনো কোচিং সেন্টারের কেউ অন্তর্ভুক্ত না হয় সে বিষয়টি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।