রাবি প্রতিনিধি : ৩ মে : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছিনতাই যেন পরিণত হয়েছে নিত্যদিনের ঘটনায়। ছিনতাই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত রয়েছে অন্তত ৫-৬ টি চক্র। এইসব চক্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি স্পটে প্রতিদিন ঘটছে এই ঘটনা বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, ছিনতাইকারীরা তাদের লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে মোটরসাইকেল নিয়ে তার গতিরোধ করে। তাদের কাছে থাকে ধারালো অস্ত্র। এই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে যা পায় তাই ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগীকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটছে হামেশায়। রাত ১০টার পর এরকম ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের কোনো স্থানে ছেলে-মেয়েকে একা পেয়ে তাদের নামে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলে মারধর ও সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সামনে জুবেরি মাঠ, ইবলিস চত্বর, প্যারিস রোড, সাবাস বাংলাদেশ মাঠ, চারুকলা অনুষদ ও বধ্যভুমি এলাকাকে টার্গেট করে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। এছাড়াও রাত ৯টার পর বাসা থেকে ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদেরকে নজরে রাখে তারা। এমনকি দিনের বেলাও কাউকে নির্জন জায়গা একা পেলে ছিনতাই করছে ছিনতাইকারীরা। চক্রগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকার ‘বখাটেরা’ জড়িত। এদের অধিকাংশের বয়স ২০-৩০ বছরের মধ্যে। মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গেও এরা জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ও ক্ষমতাশীন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও এই চক্রের সঙ্গে দেখা যায়। এদিকে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করলেও বৃদ্ধি করা হচ্ছে না নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে বন্দী হয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের অবাধে চলাফেরা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের হাতেই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ছিনতাইকারীর ভয়ে ভোর রাত কিংবা রাত ৮টার পর একা চলাচল করতে পারছেন না তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ক্যাম্পাসের ভেতর নিরপত্তাকর্মী বৃদ্ধি করা প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। তবে ভিসি-প্রোভিসি না থাকার কারণে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।