হঠাৎ করে শাহীনের পেটের মেদ বেড়ে যায়। পেটের অতিরিক্ত মেদ অনেকের জন্য বিব্রতকর বিষয়। শাহীনও এই মেদ নিয়ে আছে ঝামেলায়। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পেটের মেদ বাড়ায়। একবার পেটে মেদ জমলে তা আর কমতে চায় না। তবে একটু সচেতন হলে পেটের মেদ কমানো সম্ভব। আসুন জেনে নেই, পেটের মেদ কমানোর কিছু উপায়।
আরো পড়ুন: স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার উপায়
১. সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর গতিতে হবে। এ ছাড়া পেটের মেদ কমাতে চাইলে একসঙ্গে অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন।
২. চিনি দিয়ে দুধ চা পানের অভ্যাস ছেড়ে দিন। গ্রিন-টি দিয়ে চা পান করুন। গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে সহযোগিতা করে। নিয়মিত গ্রিন টি পানে কমবে আপনার ওজন।
৩. অনেকেই সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করেন। তাঁদের পেটে সহজে মেদ জমে। তাই ৩০-৪০ মিনিট বা এক ঘন্টা বসে কাজ করার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন।
৪. নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপন করলে পেটে মেদ জমবে না। খাবারের তালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে কমে যাবে পেটের মেদ।
৫. আদা হজমে সাহায্য করে। সারাদিনের পর আদা-চা খান। এতে একদিকে আপনি প্রশান্তি পাবেন। তেমনি অন্যদিকে কমবে শরীরের ওজন।
৬. সকালে কাঁচা রসুনের কোয়া খান। এতে আপনার শরীরে দুইটা উপকার হবে। এক আপনার ওজন কমবে আর দুই পেটের মেদ কমবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহের কাজ সহজ করে। তাই পেটে মেদ জমতে দেয় না।
৭. সাধারণত অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয়, তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, বাইরের খাবার, লাল মাংস (রেড মিট) পেটের মেদ বাড়ায়। তাই পেটের মেদ কমাতে চাইলে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
৮. অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। এই ভুল করবেন না। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এরপর শোয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন।