নিজস্ব প্রতিবেদক,২১ এপ্রিল : শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নে অবস্থিত সিড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রায় বিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাবিবুর রহমান তোতা সিড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ের চাকরিরত ছিলেন।
হাবিবুর রহমান তোতা সিড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদান, বেসরকারি কালেকশন, শিক্ষার্থীদের বেতন, ভর্তি ফি, ফরম পূরণ, মিলাদ, পূজা, স্কাউট ফি ইত্যাদি বাবদ আদায়কৃত টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা না করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সূত্রে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকে বিদ্যালয়ের যৌথ একাউন্ট রয়েছে। যৌথ একাউন্টে সিড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আলাউদ্দিন আমীন ও সচিব হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান তোতার নাম রয়েছে। হাবিবুর রহমান এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আসার পর থেকে বিদ্যালয়ের ফান্ডে যে টাকা জমা হয়েছে তা ব্যাংকের একাউন্টে জমা করেননি।
বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. জালাল উদ্দিনের কাছেও কালেকশন জমা দেননি। এই সাত বছরে প্রায় বিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের যৌথ একাউন্টে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু একাউন্টে জমা না দিয়ে তিনি নিজেই আত্মসাত করেছেন।
বিদ্যালয়ে প্রতি ছয় মাসে একবার করে মিটিং হয়। মিটিংয়ে এই টাকার কথা উঠলেই তিনি বলেন টাকা আমার কাছে জমা আছে। ব্যাংকে জমা দিয়ে দিব। ব্যাংকে টাকা জমা না দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে কিছু দিন আগে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমার একটি রশিদ ম্যানেজিং কমিটিকে দেখান।
বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. জালাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের টাকা প্রধান শিক্ষকই কালেকশন করেন। তিনিই ফান্ডে জমা করেন। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভালো জানে।