প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারছেন না সুচি

ডেস্ক: চলতি0520 বছর অনুষ্ঠিতব্য মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না শান্তিতে নোবলে বিজয়ী ও ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমক্র্যাসি নেত্রী অং সাং সুচি। ২০০৮ সালের সংবিধানের দুটি ধারা পরিবর্তনের বিষয়ে তিনদিনের যৌথ অধিবেশন শেষে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি বিলে ভোট দিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্যরা। বিলে অধিকাংশ সংসদ সদস্য ভোট দিলেও পাস হওয়ার যে ৭৫ শতাংশ ভোট প্রয়োজন ছিল তা পড়েনি।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সংসদে সংবিধানের দুটি ধারা পরিবর্তনের জন্য ভোটাভুটি হয়। এগুলির একটি সংবিধান পরিবর্তনে সেনাবাহিনীর ভেটো প্রদানের ক্ষমতা ও দ্বিতীয়টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা সংক্রান্ত। মিয়ানমারের সংবিধানের ৪৩৬ ধারা অনুযায়ী, দেশটির সংবিধানে কোন পরিবর্তন আনতে চাইলে তার ওপর ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে সেনাবাহিনীর। আর ৫৯ (চ) ধারা অনুযায়ী, স্বামী কিংবা সন্তান অন্যদেশের নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্যরা সেনাবাহিনীর ভেটো ক্ষমতা বহাল রাখার পক্ষেই ভোট দেন। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতার ক্ষেত্রে যে ধারাটি রয়েছে তাও বহাল রাখার পক্ষে ভোট দেন তারা।

এ ভোটের প্রতিক্রিয়ায় সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সুচি বলেন, ‘ ফলাফলের বিষয়ে আমি বিস্মিত নই। যারা পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেননি তারা যে পরিবর্তনের পক্ষে নন সেটিই দেখিয়েছেন।’

অর্ধদশক ধরে শাসন করার পর ২০১১ সালে বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। তবে এখনও পর্দার অন্তরাল থেকে মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতার কলকাঠি সেনাবাহিনীই নাড়ছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতা পাওয়ার পর সেনাবাহিনী সংসদের ওপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রন সরিয়ে নিতে এবং জান্তা আমলে তৈরি করা সংবিধান সংশোধনে অসম্মতি জানায়। কারণ ওই সংবিধানে সেনাবাহিনীর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সংসদে ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া সংবিধানের যে কোন সংশোধনীতে ভেটো দেয়ার ক্ষমতাও সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছিল।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।