নিজস্ব প্রতিবেদক,১১ জুন ২০২১:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন জমা দেয়া শেষ হয়েছে প্রায় ৬ মাস হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি আর আয়োজন করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এ কারণে পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে অধিদপ্তরটি।
ডিপিই সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। সংক্রমণ কিছুটা কমলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। একসঙ্গে ১৩ লাখ প্রার্থীর পরীক্ষা আয়োজন করা কষ্টসাধ্য ফলে কয়েকটি ধাপে এ পরীক্ষা হওয়ায় ১৬ সেট প্রশ্ন তৈরির উদ্যোগও নিয়েছে ডিপিই।
এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম জানান, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা নিতে আমরা প্রস্তুত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের পরীক্ষা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতা নিচ্ছে ডিপিই। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সঠিক প্রার্থী চিহ্নিত করা এবং লটারীর মাধ্যমে কেন্দ্র সচিব নির্বাচন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ডিপিই মহাপরিচালক বলেন, এবারের পরীক্ষা সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তায় থাকবে বুয়েট। এছাড়া রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে, সেটিও আপডেট করা হয়েছে। আমরা কয়েকটি ধাপে এ পরীক্ষা নিতে পারি। এজন্য প্রশ্নের ১৬টি সেট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত বছরের ২৫ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। যা শেষ হয় ২৪ নভেম্বর। এরপর দুই ধাপে ভুল সংশোধন করার সুযোগ দেয় ডিপিই। এতে মোট ১৩ লাখ ৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।