ডেস্ক,১৪মে:
ঈদের আগে একযোগে দুই ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে আবারও জটিলতা দেখা দিয়েছে। এর আগেও পরীক্ষার জন্য চার দফা সময় পেছানো হয়েছিলো
।২০ মে’র কর্মসূচি স্থগিত (ভিডিও)
পঞ্চমবারের মতো নির্ধারিত সময়েও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ- ২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষা আয়োজনে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিপিই-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা চার ধাপে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে ২৪ মে ২৫ জেলা, ৩১ মে ২৬ জেলা, ১৪ জুন ২৭ জেলা এবং ২১ জুন ২৩ জেলায় নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের কথা। কিন্তু রমজান মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আগামী ২৪ ও ৩১ মে ৫১ জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
কারণ ওই সময় শিক্ষকরা ঈদুল ফিতর পালন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। ফলে পরীক্ষা পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাবে না বলে বিভিন্ন জেলা থেকে ডিপিইকে জানানো হয়েছে।
তারা বলেছেন, রমজান ও ঈদের ছুটি হিসেবে গত ৫ মে থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৫ জুন এ ছুটি শেষ হবে। এসব কারণে ঈদের আগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সিলেট ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
নির্ধারিত যেসব কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজনের কথা রয়েছে, শিক্ষক-সঙ্কট থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না বলেও ডিপিইতে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন বা যাচ্ছেন। তাই পরীক্ষার হলে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষক-সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে ঈদের আগে দেশের ৫১ জেলায় দুই ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ঈদের আগে ২৪ মে ২৫ জেলায় এবং ৩১ মে ২৬ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তা রয়েছে। তবে শিক্ষক-সঙ্কট বা অন্য কারণে যদি কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব না হয়, তাহলে তা ১৪ জুন ও ২১ জুন তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পরীক্ষার সঙ্গে আয়োজন করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ঈদের আগে যেসব কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা হবে সেগুলোতে আগামী ১৫ ও ১৬ মে ওএমআর শিট পাঠানো হবে।
প্রবেশপত্র বিতরণ করা শুরু হবে ১৭ মে থেকে। তাই শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে কোনো বাধা নেই বলে আমি মনে করি।