ডেক্স : ২৭ এপ্রিল : পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এবার পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন মডারেট করে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়ে সকালে পরীক্ষার ত্রিশ মিনিট থেকে একঘণ্টা আগে কেন্দ্রে ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বছরের এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় এ পদ্ধতিতে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু করা হবে।
এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রকল্পের সফলতায় পরবর্তীতে সারাদেশে প্রয়োগ করা হবে অনলাইনে প্রশ্ন বিতরণ ও স্থানীয়ভাবে ছাপানোর পদ্ধতি।
পাবলিক পরীক্ষার দেড়-দু’ঘণ্টা আগে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারসহ অন্যান্য মাধ্যমে প্রশ্ন চলে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীদের হাতে। অভিযোগ রয়েছে, ট্রেজারি থেকে প্রশ্ন নেওয়ার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কেন্দ্র থেকে পরিদর্শক স্মার্টফোনে ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রশ্নফাঁস রোধে স্থানীয়ভাবে ছাপানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রযুক্তিবিদ, বুয়েটের শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। চেষ্টা করেছি একটা পথ বের করার।
‘আমরা চিন্তা করছি, সেই ধরনের ইক্যুপমেন্ট জোগাড় করছি, এটা যে হয়ে যাবে তা নয়, আমরা চেষ্টা করছি। সব জায়গায় প্রশ্ন ছাপানো হবে তা নয়। আমরা পাইলটিং হিসেবে কিছু করবো। কী ধরনের ফলাফল পাওয়া যায়, তার ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ। ’
অনলাইনে প্রশ্ন পাঠিয়ে স্থানীয়ভাবে ছাপানোর জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রিসিটির ব্যাপার আছে, মেশিনারিজের ব্যাপার আছে। সামান্য ত্রুটি হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেই। যার জন্য আমরা চাইবো আগামী বছর সব কেন্দ্রে প্রশ্ন ছাপিয়ে ফেলতে পারি কি না। তাহলে, তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে প্রশ্ন দিয়ে দেবো। আমরা চিন্তা করছি, সাড়ে নয়টায় ছাপিয়ে বিলি করে দেবো।