নিজেস্ব প্রতিবেদক : ১১ মে : সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যা থেকেই সারাদেশের মসজিদগুলোতে চলছে ওয়াজ মাহফিল। মহিমান্বিত এই রাতে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-না’ত, ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে প্রার্থনারত মুসলিম সম্প্রদায়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ‘শবে বরাতের ফযিলত’ শিরোনামে ওয়াজ করেন ঢাকার মশুরীখোলা আহছানিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বয়ানে তিনি বলেন, ‘সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ, পরনিন্দা ও পরশ্রীকাতরতা পরিহার করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইবাদতে আত্মনিয়োগ করা সব মুসলমানের দায়িত্ব। এই রজনীতে একান্ত নফল ইবাদত, তিলাওয়াতে কুরআন ও তাহাজ্জুদের মধ্য দিয়ে পালন করা উচিত।’
রাত সাড়ে ১০টায় ‘ইবাদত ও দোয়ার গুরুত্ব’ শিরোনামে বয়ান করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম। তিনি বলেন, “সব ধরনের গর্হিত কাজ পরিহার করে ইবাদতে মশগুল থাকা উচিত। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমত নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন— ‘কোনও ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কোনও রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করবো। কোনও মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিবো।’ এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।”
এছাড়া মসজিদগুলোতে এশার নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। শবে বরাত ও রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন খতিবরা। মুসল্লিরা যিকির এবং তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইবাদত করছেন। সবশেষে ফজরের নামাজের পর মসজিদগুলোতে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন এই মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের আকাশে ১৪৩৮ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৮ এপ্রিল থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়। সে হিসাবে ১৪ শাবান অর্থাৎ ১১ মে দিবাগত রাতে পালিত হচ্ছে লাইলাতুল বরাত।