ছাতক (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:
ছাতকের জাউয়া ডিগ্রি কলেজের ৫৯ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দায়িত্বহীনতার কারণে তালিকাভুক্ত ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯জন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না তাদের উপবৃত্তির টাকা। এসব শিক্ষার্থীর দু’বছরের উপবৃত্তির প্রায় ২০লক্ষ টাকা তামাদি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
জানা যায়, জাউয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬০ জনকে উপবৃত্তির তালিকায় আনা হয়। উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের মোবাইল নাম্বারসহ যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেছেন। ঔ শিক্ষার্থীদের মোবাইল নাম্বারে পিনকোডসহ ম্যাসেজ না আসায় কলেজে যোগাযোগ করে বিলম্বে তারা ব্যাংক হিসাব খোলার খবর পায়। এসময়ই মোবাইলে ম্যাসেজ না আসার মূল কারণ জানতে পারে। কলেজ কর্তৃপক্ষ তালিকাভুক্ত ৬০ জনের মধ্যে ৫৯ জন শিক্ষার্থীরই ভুল মোবাইল নাম্বার পাঠানোর ফলে ম্যাসেজগুলো তাদের মোবাইল ফোনে না এসে বিভিন্ন মোবাইলে চলে যায়। ফলে পিনকোড জটিলতার কারণে শেষ দিনে তারা ব্যাংক একাউন্ট খোলতে পারেনি। এনিয়ে কলেজ কর্তপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন।
উপবৃত্তি তালিকাভুক্ত লিপি শুক্লবৈদ্য, নিলফার আক্তার, মৌমতিাসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে সরকারের প্রদেয় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। ডিগ্রিতে ভর্তির সময় মোবাইল নম্বরসহ সকল তথ্যাবলী তারা ভর্তি ফরমে স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু উপবৃত্তি তালিকা প্রস্তুত করার সময় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকটি মোবাইল নন্বরে ভুল করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক নিখিলেশ দাস ও ছৈল মিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্যাবলী ভর্তি ফরমে দেয়া আছে। ৬০জনের মধ্যে ৫৯জনের মোবাইল নম্বর ভুল প্রেরণের বিষয়টি থেকে কর্তৃপক্ষ দায়ভার এড়াতে পারে না। ঘটনাটিকে একটি বড় ধরনের কেলেংকারী বলে তারা মন্তব্য করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফার জানান, ফরম পূরণের সময় ভুল করেছে শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী মজুমদার জানান, উপবৃত্তির দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের সাথে মাধ্যমিক অফিস জড়িত নয়।