ডেস্ক,২৩ অক্টোবর ২০২২:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দুই হাজার ২৫৭টি কলেজ আছে। ১৯৯২ সালে যাত্রার শুরুর সময় এ সংখ্যা ছিল ৪৫৫টি। গত ২২ বছরে প্রতি চারদিনে গড়ে একটি করে কলেজ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোয় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও শিক্ষকও নেই। যারা আছেন, তাদের সবাই ঠিকমতো বেতন-ভাতাও পান না বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, এ সব কারণে প্রতিষ্ঠানটির ডিগ্রির মান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একাধিক বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, নতুন করে কোনো কলেজে অনার্স চালুর অনুমোদন দেওয়া হবে না। দু’বছর ধরেই এই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি উপাচার্য জানিয়েছেন, সরকার কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। সে আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পিজিডি (পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা) কোর্স চালু করবে। আপাতত অনার্সের পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। যুগোপযোগী, যুৎসই ও প্রয়োজনীয় বিষয়/বিভাগের প্রস্তাব এলে তার অনুমতি দেওয়া হবে।
উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখন ৩৫ জনবলের পরিবার। ডিগ্রিতে প্রায় চার লাখ আসন কমানো হয়েছে। আসন আরও কমানো যায়। কিন্তু এতে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠেলে দেওয়া হবে। আসলে শিক্ষার্থীদের অনার্স বা ডিগ্রিতে না নিয়ে ধীরে ধীরে ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্সে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। আইসিটি, ল্যাংগুয়েজ, এন্টারপ্রেনারশিপ বাধ্যতামূলক হবে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে শুরু করব।