বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বিপণন শুরু করেছে। আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজ শুরু হয়। কাল মঙ্গলবার থেকে খুচরা মূল্যে বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে জীবাণুনাশকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো এটি উৎপাদন ও বিপণন করছে।
কেরুজ বিপণন শাখার উপব্যবস্থাপক শেখ মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ১০০ মিলিলিটার (এমএল) পরিমাপের ৩ হাজার বোতল উৎপাদন করা হয়েছে। প্রতিটি ১০০ এমএল বোতলের পাইকারি মূল্য ৫০ টাকা এবং গ্রাহকপর্যায়ে খুচরা মূল্য ৬০ টাকা রাখা হয়েছে। বাজারে ১৮০ এমএল আকারের বোতলের চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী বোতলজাত ও বিপণনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন উৎপাদিত ৩ হাজার বোতল বিএসএফআইসির মাধ্যমে বিপণন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ায় পুরোটাই ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে কোম্পানির নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র ও ডিপো থেকে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে ছাড়া হবে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, কেরুর ওষুধ কারখানায় (যেখানে ভিনেগার তৈরি হয়ে থাকে) ১০ জন শ্রমিক টিনের ব্যারেল থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল ভর্তি, বোতলের ছিপি ও লেবেল লাগানো ও কার্টন ভর্তি করছেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন রসায়নবিদ শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, স্যানিজাইটার উৎপাদনের পর ব্যবহারে দেখা গেছে জীবাণুনাশক হিসেবে খুবই কার্যকর। এতে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ জীবাণু মারা যায়। প্রথম দিন ৩ হাজার বোতল উৎপাদন করা হয়েছে। প্রথম দিন চাহিদা অনুযায়ী বোতল সরবরাহ না পাওয়ায় উৎপাদন সীমিত করা হয়। তবে চাহিদা অনুযায়ী বোতল সরবরাহ পাওয়া গেলে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বিপণন সম্ভব হবে।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহেদ আলী আনছারী বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কোম্পানি মনে করছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানো দরকার। লাভের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছি।’