বগুড়া প্রতিনিধি : ৯ মে : কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার লুস্কুর আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ক্লাস করতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, আকাশে মেঘ দেখলেই দেয়া হয় ছুটি।
২০০০ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে লুস্কুর আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি (তৃতীয় ধাপে) জাতীয়করণ হয়। মাটির ঘরেই চলে আসছিল বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টির মাঠির ঘরের ছাউনি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ না করে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেই পাঠ গ্রহণ করছে।
লুস্কুর আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের দুটি ঘর ভেঙে পড়েছে এবং ছাউনি বিধস্ত হয়ে গেছে। তাই কয়েক দিন ধরে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ে একশজন শিক্ষার্থী থাকলেও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেয়ার কারণে অনেকে শিক্ষার্থীই স্কুলে আসছে না। আবার যারা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আসছে তাদেরও ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো অর্থ না থাকায় কবে নাগাদ বিদ্যালয়টির মেরামত করা সম্ভব হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় প্রধান শিক্ষক।
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, বিদ্যালয়টি মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
সরেজমিনে সোমবার সকালে লুস্কুর আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে কথা হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাঁধন চন্দ্র, মনিকা ও মাহামুদার সাথে। তারা জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই খোলা আকাশের নিচে মাঠে বসে লেখাপড়া করছি। রোদ গরমে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। সরকারের কাছে আবেদন অতি দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ের ঝড়ে ভেঙে যাওয়া ঘড়গুলো মেরামত করে দিন।
নন্দীগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টি মেরামতের জন্য প্রধান শিক্ষকের আবেদন পাওয়া গেছে। তার আবেদন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা উন্নয়ন শাখায় পাঠানো হয়েছে। আশা করি শিগগির স্কুলটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।