কাতার বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনের জন্ম

Image

ডেস্ক,২২ নভেম্বর ২০২২:  আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে সৌদি আরবের চমক

৩৬ বছরের বিশ্বকাপ জয়ের খরা কাটানোর স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নেমে কাতারে যাত্রাটা শুভ হলো না আর্জেন্টিনার। সৌদি আরবের কাছে ১-২ গোলে হেরে তারা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে হতাশ করেছে।

আর্জেন্টিনার প্রথমার্ধের পারফরমেন্স দেখে মনে হয়নি তাদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারে। ফুটবল বিশ্বের দর্শকদের সব ধারনা ভুল প্রমাণ করে সৌদি আরব হারিয়ে দিলো দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে রেকর্ড টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সেই আর্জেন্টিনাকেই মাটিতে নামিয়ে আনল এশিয়ার পরাশক্তি দল সৌদি আরব। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৫১ নাম্বারে থাকা সৌদি তিনে থাকা আর্জেন্টিনাকে বড় ধরনের ধাক্কা দিলো।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সৌদির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা যখন মাঠে নামছে, তখন সকলেই ইতালির রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করছিলো। সৌদিকে হারিয়ে ইতালির পর আর্জেন্টিনাও টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিজের করে নেবে এমনটাই ধরে নিয়েছিল সবাই। আদতে সেটা হলো না। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনের জন্ম দিতেই যেন প্রস্তুত ছিল লুসাইল স্টেডিয়াম।

প্রথমার্ধে চারবার বল জালে জড়িয়েও আর্জেন্টিনা মোটে গোল পেয়েছে ১টি। সেটিও আবার ভিএআর প্রযুক্তিতে পেনাল্টি পায় বলে। গোল করেন মেসি। অন্যদিকে প্রথমার্ধে সৌদি আরব ছিল সম্পূর্ণ ব্যাকফুটে। কোনো আক্রমণ তো দূরে থাক রক্ষণভাগটাও সামলাতে পারছিলো না। অথচ বিরতি থেকে ফিরে রীতিমতো ঘুরে দাঁড়ালো সবুজ জার্সিধারীরা।

পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল দিয়ে আর্জেন্টাইনদের চেয়ে এগিয়ে যায় দলটি। সেই লিড টানা ৪৫ মিনিট ধরে রেখে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেয় আরবীয়রা। ৪৮ মিনিটের সময় সালেহ আল সেহরির দুর্দান্ত গোলের পর ৫৩ মিনিটের সময় ব্যবধান দিগুণ করেন সালেম আল দাওসারি।

ভাগ্য যখন খারাপ হয়, তখন সবদিক থেকে ঘিরে ধরে। আর্জেন্টিনার বেলায় সেটাই ঘটলো। খেলায় সমতা আনতে আর্জেন্টিনা সাড়াশি আক্রমণ চালিয়ে কোনঠাসা করে দেয় সৌদি আরবকে। গোলেরও সুযোগ পায় দু’বার। কিন্তু বেরসিক সৌদি গোলরক্ষক মোহাম্মদ আলওয়াইস দুর্দান্তভাবে সুযোগ দুটি নষ্ট করে দেন। শেষ পর্যন্ত এক বুক হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসিরা।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।