নিজস্ব প্রতিবেদক,২এপ্রিল:
বরাদ্দ না থাকায় চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) নতুন করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বুধবার (৩১ মার্চ) সাংবাদিকদের বলেন, নীতিমালা জারি হলেও চলতি অর্থবছরে নতুন করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে না। কারণ নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হলে অর্থের প্রয়োজন, বর্তমানে সেই অর্থ নেই। তবে এমপিওভুক্তির জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ চেয়ে দেন দরবার করছি। যদি অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয় তবে নতুন করে এমপিওভুক্তি হবে।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনায় নতুন সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। তবে এবারের নীতিমালায় এমপিওভুক্তিতে পাসের হার,পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমানো হয়েছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়, এমপিও পেতে হলে প্রতিষ্ঠানের নামে জমির হালনাগাদ খাজনাসহ নাম জারি থাকতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের নামে ও ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে না। শিক্ষকদের এমপিও নিষ্পত্তি নিয়ে অযথা হয়রানি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।
নীতিমালায় এমপিওভুক্তির আবেদনের বিষয়ে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। নিজস্ব জমি ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ানভুক্ত ও নামজারিকৃত নিজস্ব জমিতে অবকাঠামো এবং হালনাগাদ একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তি থাকলে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। তবে যুদ্ধাপরাধীদের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে না। ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে কোনো প্রতিষ্ঠানও এমপিও করা হবে না। নেতিবাচক নামের কারণে সমাজে প্রভাব পড়তে পারে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্ত করা হবে না।
















