ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শেয়ারের ৯ দশমিম ৯৯ শতাংশের মালিক সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিস্ট এজেন্সি। পরিচালনা পর্ষদেও এতদিন তারা ছিল।
কিন্তু হঠাৎ ব্যাংক পরিচালনা থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোম্পানিটি। তবে কোম্পানিটি এখনো শেয়ার বিক্রি করেনি। এর আগে ইসলামী ব্যাংকের পুরো শেয়ার ছেড়ে দিয়ে পরিচালনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
আরো পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল হতে পারে !
তারও আগে বেশ কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করে দেয়। ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার পর এই শেয়ার বিক্রি শুরু হয়। এসব শেয়ার কিনে ব্যাংকটির একক নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় এস আলম গ্রুপ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে যে নানা অনিয়মের কারণে ব্যাংকটি এখন তারল্য সংকটে ভুগছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো ইসলামী ব্যাংকের এক চিঠিতে বলা হয়, সৌদি আরবভিত্তিক কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিস্ট এজেন্সি গত ৫ জুলাই একটি চিঠি পাঠিয়ে জানায়, তারা ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পদে থাকবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২০১১ সাল পর্যন্ত একরকম নির্বিঘ্নেই ব্যাংকটি পরিচালনা করেছে। ২০১১ সালের নভেম্বরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নতুন নিয়ম করে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। এই বিধান করার পর ব্যাংকটিতে জামায়াত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে কিছুটা ভাটা পড়ে।