ইবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চাকরি প্রার্থী শাহবুব আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাক্ষগ্রহণের নোটিশের মাধ্যমে কমিশন এ তদন্ত শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা নীলকমল পাল স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন: ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি : জাতীয় মেধাতালিকায় ৩০তম হয়েও নিয়োগ পাননি আইসিটি শিক্ষক

চিঠি সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। কমিশন আইনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং বিধিমালার ২০ বিধিসহ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬০ ধারা মতে স্বাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ প্রসঙ্গে স্বাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি তদন্তে নীলকমল পালকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। এছাড়া আগামী ২ জুলাই সকাল ১০টায় দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষীকে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে নীলকমল পাল বলেন, ‘ইবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তভার আমার উপরে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি বলতে পারছি না।’

জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেই বোর্ডের সাক্ষাৎকার শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগের সভাপতি ও বোর্ডের সদস্য ড. বখতিয়ারের মতবিরোধ হয়। এসময় তিনি চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে উপাচার্যের অডিও ফাঁসের জেরসহ নানা অভিযোগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন চাকরিপ্রার্থী শাহবুব আলম। এতে উপাচার্যকে অভিযুক্ত করে বিভাগটির শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।