আরও ৮ জেলায় নতুন ডিসি

৮ জেলায় নতুন ডিসি

আরও আট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ জুলাই ১০ জেলায় ডিসি পদে পরিবর্তন আনে সরকার। এর তিনদিনের মধ্যে সর্বশেষ রোববার (৯ জুলাই) আরও ১০ জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়। একদিন পর আবার আজ আবার এ পরিবর্তন এলো। পাঁচদিনের মধ্যে ২৮ জেলার ডিসি পদে পরিবর্তন এলো।

আরো পড়ুন: ১০ জেলায় নতুন ডিসি

মেহেরপুর, শেরপুর, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. শামীম হাসানকে মেহেরপুর, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমকে শেরপুর, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. ইমরান আহমেদকে জামালপুর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপনকে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানকে রংপুর ও রেহেনা আকতারকে মানিকগঞ্জ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) মো. মাহমুদুল হককে নারায়ণগঞ্জ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কিসিঞ্জার চাকমাকে চুয়াডাঙ্গার ডিসি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, মানিকগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল লতিফকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব, শেরপুরের ডিসি সাহেলা আক্তারকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, রংপুরের ডিসি চিত্রলেখা নাজনীনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, জামালপুরের ডিসি শ্রাবস্তী রায়কে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং মেহেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামকে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।

ডিসি জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলো দেখে থাকেন। এছাড়া নির্বাচিত সরকারের বিশেষ কর্মসূচি এবং চলমান সব উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করে থাকেন।

নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকায় যেকোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিলের ক্ষমতাও তাদের থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসির অধীনে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকায়ও থাকেন ডিসিরা।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।