আইনস্টাইন-হকিংকে ছাড়িয়ে গেল যে শিশুটি!

ডেস্ক,৩০জুন: তার বয়স মাত্র ১১ বছর। অথচ এই বয়সেই আলবার্ট আইনস্টাইন ও স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানীর চেয়েও বুদ্ধিমান সে। নাম তার অর্ণব শর্মা। সম্প্রতি বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় আইনস্টাইন ও হকিংয়ের চেয়ে দুই নম্বর বেশি পেয়েছে সে!

বুদ্ধিমত্তা মাপার পরীক্ষাগুলোর মধ্যে মেনসা টেস্ট অন্যতম। খুব কঠিন পরীক্ষা বলে এর ‘কুখ্যাতি’ আছে। আর সেই পরীক্ষাতে কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই অংশ নিয়েছিল অর্ণব। যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের রিডিং শহরে মা-বাবার সঙ্গে থাকে সে।

মেনসা টেস্টে ১৬২ নম্বর পেয়েছে অর্ণব। অথচ পরীক্ষায় বসার আগে এর প্রশ্ন সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তার। স্রেফ মনের জোরেই কয়েক সপ্তাহ আগে পরীক্ষায় বসে সে। আর তার পরই ইতিহাস।

মেনসার পক্ষ থেকে একজন মুখপাত্র বলেছেন, অর্ণব যে নম্বর পেয়েছে, তা খুব কম মানুষই অর্জন করতে পেরেছে।

১৯৪৬ সালে অক্সফোর্ডে বিজ্ঞানী ল্যান্সেলট লিওনেল ওয়্যার ও আইনজীবী রোল্যান্ড বেরিল মেনসা সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে সারা বিশ্বে এটি ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট জনসংখ্যার শীর্ষ ২ শতাংশ বুদ্ধিমান মানুষকে এই সোসাইটির সদস্যপদ দেওয়া হয়। তবে এর জন্য মেনসা অনুমোদিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

ব্রিটিশ অনলাইন পত্রিকা দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, পরীক্ষার প্রাথমিক ফল নির্ধারণের জন্য মৌখিক যুক্তির সক্ষমতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এতে বুদ্ধিমত্তার মাত্রায় যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় ১ শতাংশ মেধাবীদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে সে।

অর্ণব বলেছে, ‘মেনসা টেস্ট বেশ কঠিন। আমি এতে উত্তীর্ণ হওয়ার আশা করিনি। আমার পরীক্ষাটি শেষ করতে আড়াই ঘণ্টার মতো লেগেছিল।’ সে জানিয়েছে, মাত্র সাত-আটজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছিল প্রাপ্তবয়স্ক।

অবশ্য এতে ঘাবড়ে যায়নি অর্ণব। সে বলেছে, ‘আমার কোনো প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু আমি কোনো স্নায়বিক চাপে ভুগিনি। পরীক্ষার ফল শুনে মা-বাবা কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন ঠিকই। তবে তাঁরা বেশ খুশিও হয়েছেন।’

অর্ণবের মা মিশা ধামিজা শর্মা বলেন, ‘পরীক্ষার পুরোটা সময় আমি প্রার্থনা করেছি। ভাবছিলাম, কী জানি কী হয়! কারণ, এর আগে মেনসা টেস্টের কোনো প্রশ্নপত্রও দেখেনি সে।’

পড়াশোনায় হাতেখড়ির পর থেকেই গণিতে ভালো দক্ষতা ছিল অর্ণবের। তার মা জানান, মাত্র আড়াই বছর বয়সেই ছেলের প্রতিভা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছিলেন। মিশা ধামিজা শর্মা বলেন, ‘তখনই এক শর বেশি গুনতে পারত সে।’

রিডিং শহরের ক্রসফিল্ডস স্কুলে পড়াশোনা করে অর্ণব। এরই মধ্যে ইটন কলেজ ও ওয়েস্টমিনস্টারে নির্বাচিত হয়েছে সে। এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ।

তবে অর্ণব শুধু গণিতেই ভালো, তা কিন্তু নয়। গান ও নাচের প্রতিও আগ্রহ আছে তার। আট বছর বয়সেই একটি নাচের প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উঠেছিল সে।

প্রথম আলো হতে সংগৃহিত

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।