যশোর প্রতিনিধি :যশোরের মণিরামপুরে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকে লাঞ্ছিত ও বিদ্যালয় কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ সরকারের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের জের ধরে শনিবার স্থানীয় কিছু লোকজন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পরে প্রধান শিক্ষক ওই তালা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করলে বিক্ষুব্ধরা তাকে অবরুদ্ধ করে মারমুখী অবস্থান নেন এবং প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও স্থানীয় আরও কিছু লোকজন এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মণিরামপুরের জয়পুর গ্রামের তোরাব আলী, শাহিন, মকলেছুর রহমানসহ একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল গফুর সরদার বলেন, প্রধান শিক্ষক পরিতোষ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একই স্কুলের এক শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। গত ৩০ মে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ায় তাকে মারপিটেরও শিকার হতে হয় বলে তিনি দাবি করেন।
ম্যানেজিং কমিটির অপর সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, পরিতোষ সরকার বার বার এমন অপরাধ করলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন।
তবে প্রধান শিক্ষক পরিতোষ সরকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গত ২৯ মে ওই শিক্ষিকার ছেলে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসায় স্থানীয় কতিপয় যুবক চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি দেখার জন্য বাড়িতে ডাকেন ওই শিক্ষিকা। এ সময় ওই শিক্ষিকার বাড়িতে কতিপয় যুবকের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। পরে এ ঘটনাকে পুঁজি করে এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কুৎসা রটাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুর্গাপদ সিংহ বলেন, প্রধান শিক্ষক পরিতোষ সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। আর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুন্তাজ মহলদার বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। রোববার সরেজমনি গিয়ে তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।