৮৭ ভাগ নারী স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক 1416903382
নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় ক্রমেই নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। এ কথা বলেছে বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (বিএলএফ) কর্মকর্তারা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএলএফ কর্মকর্তারা এ কথা বলেন।

মানববন্ধনে এক গবেষণাপত্রের কথা উল্লেখ করা হয়।

এই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে ১০ কোটি থেকে ১৪ কোটি নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ১৮ বছরের কম বয়সী অন্তত ৭ কোটি নারীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব্ব-সংঘাত এবং মানবিক বিপর্যয়ে এ ধরনের সহিংসতার মাত্রা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা যথার্থ নয়। আর সে কারণে নারী নির্যাতনের শিকার হন।

গবেষণাপত্রে আরো বলা হয়েছে, আইন সংশোধনের পরও নারীরা কর্মক্ষেত্রে এবং আইনি সহায়তার ক্ষেত্রে সহিংসতা এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশে ছয় মাসে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ৮৩১ টি এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ৫১ জন। দেশে বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বক্তারা বলেন, জাতীয় নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন হলেও তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। এছাড়াও উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়নি।

নারী নির্যাতন বন্ধে প্রচলিত আইনের বাস্তবায়ন, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

তারা বলেন, মানবাধিকার সুসংহত করতে হলে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতেই হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের জন্য বিএলএফ কয়েকটি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবি জানিয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।