সমন্বিত নিয়োগ বিধি ২০২০ প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি পথ রুদ্ধ

শিক্ষা-বার্তা-জনপ্রশাসন

২৫৮৯ AUEO পদে হবে সরাসরি নিয়োগ!!!!!!!।
ডেস্ক,১১ অক্টোবর:
সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এ প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি র পথ রুদ্ধ হতে চলেছে। অনুমোদনের জন্য অপেক্ষারত প্রস্তাবিত নীতিমালায় ০৩ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং অনূর্ধ্ব
৪৫ বছর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক বৃন্দ বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে নিয়োগ পেতে পারবেন।
আবারো ৪৫ বছর বয়সের ফ্রেমে বাঁধা পড়তে যাচ্ছে জ্যেষ্ঠতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সকল প্রশিক্ষণ।
সূত্র মারফত জানা যায়” সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। যেকোনো সময় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠতে পারে বলে সূত্রে প্রকাশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের সকল চাকরিজীবীদের ফিডারপোস্ট থেকে জ্যেষ্ঠতা ও গ্রেডেশন এর মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
শুধুমাত্র এবং একমাত্র ব্যতিক্রম প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক বৃন্দ। সহকারী শিক্ষকবৃন্দ
চাকুরী শেষ দিন পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতা ও গ্রেডেশন এর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। আবার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গন চাকরির শেষ দিন পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতা ও গ্রেডেশন এর মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদে। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদে চাকরি শেষ দিন পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতা এবং গ্রেডেশন এর মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে কিন্তু কেন?!!!!!!!! আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের বিনীত প্রশ্ন কিন্তু কেন?
১৯৯৪ সালের একটি কালো আইনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকবৃন্দের সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতির পথ রুদ্ধ করে দিয়ে চালু করা হয়েছিল সরাসরি নিয়োগ পদ্ধতি।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালেরও পদোন্নতির পথ রুদ্ধ করে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হতে চলেছে। প্রধান শিক্ষকবৃন্দ ১৯৯৪ সাল থেকে
“অভিশপ্ত ব্লকপোষ্ট” নতুন নিয়োগ বিধিমালাও ব্লক পোষ্টই থেকে গেল।
সদাশয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের অনুরোধ সমূহ,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ প্রধান শিক্ষকসহ সর্বস্তরের শিক্ষকদের পদোন্নতির দ্বার
উম্মোচন করে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জাতীয় শিক্ষানীতিতে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণকে পদ্ধতির মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। সুতরাং নিয়োগ বিধিমালায় ৪৫ বছরের বাধা দূর করে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে জ্যেষ্ঠতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণকে পদন্নতির মুল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করার জন্য আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সদাশয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের বিনীত বিনীত অনুরোধ
১) রুদ্ধ পদোন্নতির পথ উন্মুক্ত করে দিন
২) প্রধান শিক্ষকদের ২৬ বছরের বঞ্চনার যন্ত্রণা নিরসন করুন।
৩)ব্লক পোস্টকে উন্মুক্ত করে দিন।
৪) সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ নয় বরং উক্ত পদে শতভাগ পদোন্নতি প্রদান করুন।
৫) ব্লকপোষ্টের অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্তকরেদিন।

লিপি খাতুন
প্রধান শিক্ষক
প্রতিভাময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দিঘলিয়া খুলনা।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।