ভর্তি ফরমের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অধ্যক্ষকে ‘পেটালেন’

জাগো নিউজ,৮ সেপ্টেম্বর:
ভর্তি ফরম বিক্রির টাকা ‘ভাগাভাগি’ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক এফ এম আলী হায়দারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান।
অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময়ে এফ এম আলী হায়দার ও তার সহযোগীরা ইনস্টিটিউটের নথিপত্র ও ভর্তি ফরম বিক্রির সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।

আরো পড়ুন:রটিন তৈরিতে যে নির্দেশনা মানতে হবে

তবে বায়োসায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের অভিযোগটি এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ওসি।

অভিযুক্ত এফ এম আলী হায়দার রাবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বায়োসায়েন্স ইনস্টিটিউটের একজন অংশীদার।

এদিকে, থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান উল্লেখ করেছেন, মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এফ এম আলী হায়দার ও নাটোরের সিংড়ার মুকুলসহ চার-পাঁচজন বহিরাগত ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করেন। ওই সময় ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে পরিচালনা পর্ষদের সভা চলছিল। সেখানে অনধিকার প্রবেশ করে রেজুলেশন বইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিনিয়ে নেন।
এতে বাধা দিলে তারা (আলী হায়দার ও তার সহযোগীরা) ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সামনেই অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। এসময় তারা অধ্যক্ষকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন’ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, আত্মরক্ষার্থে অধ্যক্ষ সেমিনার কক্ষের বাইরে গেলে আসামি মুকুলসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন আবারও অধ্যক্ষের ওপর চড়াও হয়। তারা অধ্যক্ষের শার্টের পকেটে এবং অফিস থেকে ইনস্টিটিউটের নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

তবে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাবি শিক্ষক এফ এম আলী হায়দার। তিনি বলেন, ‘আমার আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছি, ঠিকমতো চলতে পারি না। আমি কীভাবে ওকে (হাফিজুর রহমান) মারধর করবো?’

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভর্তি ফরম বিক্রির টাকা আত্মসাতের পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য পার্সোনাল (ব্যক্তিগত) বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন তিনি (হাফিজুর)। ভর্তি ফরম বিক্রির মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় হলেও হাফিজুর দেখিয়েছেন চার লাখ টাকা। এ টাকার অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়।’

তিনি নিজে ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাকে অবৈতনিক পরিচালক থাকার অনুমোদন দিয়েছে দাবি করে আলী হায়দার বলেন, ‘হাফিজুর রহমান নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু ওই ইনস্টিটিউটের বর্তমান অধ্যক্ষ শামিমা বেগম। হাফিজুর অধ্যক্ষ সেজে পদে বসে আছেন।’

জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন জানান, ‘এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে সেটি মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।