প্রাথমিক শিক্ষকদের ১ম ও ২য় শ্রেণির মর্যাদা দাবি

Image

ডেস্ক,৫ মার্চ:
প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দাবি জানানো হয়েছে।প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকদের ৮ম গ্রেডে প্রথম শ্রেণি ও সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে ২য় শ্রেণির মর্যাদাসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি।

শুক্রবার (৫ মার্চ) কমিটির প্রথম সভা ঢাকার তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গাজীউল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল ফজল মো. শামসুদ্দিন আজাদ, কামরুল হাসান ভূইয়া, সুব্রত রায়, মীর মহিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, মইনুল ইসলাম সরকার, নুরুল আবছার, আরিফ দেওয়ান, মমতাজ মহল, ফজলুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক বাধন খান পাঠান ববি, শফিকুল ইসলাম চাঁদ প্রমুখ।

শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. প্রধান শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদায় ৮ম গ্রেড ও সহকারি শিক্ষকদের ২য় শ্রেণীর মর্যাদায় ১০ম গ্রেড প্রদান করে তাদেরকে সেল্ফ ড্রয়িং ও আয়ন-বায়ন ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

২. বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের ০৯/০৩/২০১৪ থেকে ১৪/১২/২০১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্য টাইম স্কেল এবং সরকার ঘোষিত সন্তোষজনক চাকুরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান নিশ্চিত করা।

৩. পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড সমতা করে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সাথে বেতন বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. সকল শিক্ষকের টিফিন ভাতা প্রতিমাসে ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা ও স্কুল কন্টিজেন্সি প্রতি ৬ মাসে ১২ হাজার টাকা করে বছরে ২৪ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।

৫. সরকার ঘোষিত সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে আইবাস প্লাস প্লাস আপগ্রেড দ্রুত বাস্তবায়ন ও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬. সহকারী শিক্ষককে এন্ট্রি পদ ধরে পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাথমিক শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ৩ বছর পরপর প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিষয়ে জটিলতা দ্রুত নিরসন করতে হবে।

৭. চাকুরী ক্ষেত্রে সিনিয়র ও জুনিয়র বেতন বৈষম্য সমতাকরণ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে গ্রেডেশন তালিকায় কোন প্রকার বৈষম্য রাখা যাবে না।

৮. প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদ সৃষ্টি করতে হবে।

৯. জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০ অনুযায়ী প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করতে হবে।

১০. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য দ্রুত ব্যাংক-হাসপাতাল এবং পূর্বের ন্যায় ন্যায্য মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

১১. প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন কর্মঘন্টা নির্ধারণ ও অভিন্ন সময়সূচি চালু করতে হবে।

১২. প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরী কাম প্রহরীদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।