তীব্র সেশনজটে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক,২১মে।
তীব্র সেশনজটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ সেশনজটের জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর খামখেয়ালিপনা দায়ী৷




জানা গেছে, ২০১৪-১৫ সেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা আগামিকাল (২২ মে ২০১৯) শেষ হবে। অন্যদিকে সাত কলেজে পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ আসছে সেপ্টেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে। তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষার্থীরা।

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত অন্যদিকে একই শিক্ষাবর্ষের সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এখনও তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষের ক্লাস চলমান অন্যদিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এখনও পরীক্ষায় বসতে পারেনি। সম্ভাব্য পরীক্ষার তারিখ ১৯ মে নির্ধারণ করা হলেও পরে দুই দফা পরিবর্তন করে তা ২০ জুন হবে বলে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে৷
আরো পড়ুন
শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষককে যাবজ্জীবন
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনার্স প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণ চলছে অন্যদিকে সাত কলেজে এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ২০১৫-১৬ সেশনের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও সাত কলেজের পরীক্ষার সময়সূচি এখনও প্রকাশ হয়নি৷

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ২০১৬-১৭ সেশনের পরীক্ষা শুরু হবে ২২ জুন। অপরদিকে সাত কলেজে একই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় চলতি বছরের অক্টোবরে নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তবে সম্ভাব্য পরীক্ষার নিয়ে আশাবাদী নয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পূর্ব নির্ধারিত তারিখে নেয়া হয় না পরীক্ষা।

ঢাকা কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, ‘আমার শিক্ষাবর্ষের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এখন চতুর্থ বর্ষে আর আমরা তৃতীয় বর্ষে। আমার এ সময়ের মূল্য কে দিবে।’

সবুজ হাসান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা বলে ঢাবির অধিভুক্ত করে আমাদের নানা ভোগান্তিসহ জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, সেশন জট নিরসনসহ ৫ দফা দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল নীলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৷ টানা দুই দিন আন্দোলনের পর ২৪ এপ্রিল নীলক্ষেতে ঢাবি প্রক্টরের কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাবি ভিসির সঙ্গে দেখা করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ভিসি ২৮ এপ্রিল সাত কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে ২৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আই কে সেলিমুল্লাহ খোন্দকারকে।

সেশনজট বিষয়ে প্রফেসর আই কে সেলিমুল্লাহ খোন্দকার বলেন, ক্লাস ছাড়া পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। ক্লাস না নিয়ে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার মানের কোনো উন্নয়ন হবে না। তবে আমরা আশাবাদী দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে৷

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।