ডাক্তার-পুলিশ: এলিফ্যান্ট রোডে বিতণ্ডার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

ডাঃ পুলিশ-শিক্ষাবার্তা

ডেস্ক,১৯ এপ্রিল:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢাকার রাস্তায় ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে । যেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এক ডাক্তারের উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা।

ভিডিওর শুরুতেই দেখা যায় ওই ডাক্তার কিছুটা ক্ষিপ্ত মেজাজেই পুলিশ আর ম্যাজিস্ট্রেটকে বলছেন – “আমি আইডি কার্ড নিয়ে আসি নাই”।

পুলিশ যখন জানতে চাইল “আপনার মুভমেন্ট পাস আছে?”

ওই ডাক্তার গাড়ির স্টিকার দেখিয়ে বললেন “এই যে মুভমেন্ট পাস”।

তখন সাদা শার্ট পরিহিত ব্যক্তি যিনি ম্যাজিস্ট্রেট বলে জানা যাচ্ছে তিনি বলেন ” আমিতো ওটা দেখতে চাচ্ছি না। আপনার মুভমেন্ট পাস আছে কিনা। আপনার আইডি কই?”

তখন ওই ডাক্তার জবাব দেন, “ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস? কতজন ডাক্তারের প্রাণ গেছে করোনায়?

এক পর্যায়ে ওই ডাক্তার নিজের পরিচয় প্রকাশ করে বলেন, তিনি বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে সাঈদা শওকত। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের এক পর্যায়ে তিনি পুলিশ এবং কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটক ‘তুই’ বলে সম্বোধন করলে তারাও ক্ষিপ্ত হন।

সাঈদা শওকত উত্তেজিতভাবে বলতে থাকেন ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে’।
‘আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা বলে তুইও পুলিশ’ এমন মন্তব্য আসলে পুলিশের পক্ষ থেকেও একজন বলে ওঠেন তার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা।

‘ডাক্তার বড় না পুলিশ বড়’- সেই প্রশ্ন তুলে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি ধারণ করেছেন ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ। বিবিসি বাংলাকে ঘটনাটির বিস্তারিত জানিয়েছেন মি. আহমেদ।
কী ঘটেছিল তখন?

এলিফ্যান্ট রোড এলাকার ঘটনা এটি। জীবন আহমেদের গাড়িও রাস্তায় চেক করে পুলিশ।

পুলিশের চেকিং শেষ হবার পর সেখানেই ছবি তুলছিলেন মি. আহমেদ।

ওই চেকপোস্টেই ডা: সাঈদা শওকতের প্রাইভেট কারটি আটকায় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট, তার মুভমেন্ট পাস বা আইডি কার্ড দেখতে চান তারা।

“তিনি ডাক্তার কীনা, তা জানতে আইডি কার্ড দেখতে চান তারা”।

“তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশ বলছিল, আমিতো আইডি কার্ড দেখতে চাচ্ছি, আমিতো অপরাধ করছি না। আপনি খারাপ ব্যবহার করছেন কেন? এখানেতো অনেকেই অনেক পরিচয় দিয়ে বের হচ্ছে। এজন্যতো আপনি এরকম ব্যবহার করতে পারেন না।”

জীবন আহমেদের তথ্য অনুযায়ী সেখানে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন।

এক পর্যায়ে ওই ডাক্তার একজন মন্ত্রীকেও কল করার চেষ্টা করেন।

জীবন আহমেদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ডাক্তার যে সরকারের উচ্চপর্যায়ে অনেকের ঘনিষ্ঠ সেরকম একটি ব্যাপার দেখানোর চেষ্টা ছিল এটি।

ডাক্তার আর পুলিশের এমন আচরণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন উঠেছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।