বুধবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গাস্থ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই ধর্ষিতার দুলাভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় শিক্ষক আহাদ আলীর নামে মামলা দায়ের করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ক্লাসরুমে নোট দেওয়ার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে যেতে বলে শিক্ষক আহাদ আলী। তার কথামত ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গেলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষকের বাড়িতে কেউ ছিলো না বলে জানায় ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের জানালে আজ সকালে ক্ষুব্ধ অভিভাবকও তার স্বজনরা হামলা চালায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এ সময় মারপিট করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীকে।
এদিকে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করতে থাকে। তাতে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা যোগ দিলে পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেন। এর পর রাতে ধর্ষিতার দুলাভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।