মহাপরিচালক স্যারের নির্দেশনা কেন উপেক্ষিত?
রিয়াজ পারভেজ
৫ জুন, ২০২০:
প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি ক্রমাবনতিশীল। আক্রান্ত প্রতিদিন তিন হাজার ছুই ছুই। প্রাণহানি চল্লিশের কাছে।প্রতিদিন দেশের কোন না কোন প্রান্ত হতে করোনা আক্রান্ত হয়ে একাধিক শিক্ষকের মৃত্যুর সংবাদ আসছে।বিপুল সংখ্যক শিক্ষক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্ন করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে আবার তাদের বাসায় গিয়ে খাতা সংগ্রহ করে মূল্যায়ন করে যথা সময়ে রিপোর্ট দেয়ার জন্য প্রতিটি শিক্ষককে বাধ্য করা হচ্ছে। আমার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭৩৫ জন। শিক্ষক প্রধান শিক্ষক সহ ১৭জন। প্রতি শিক্ষক ১০০এর অধিক শিক্ষার্থীর বাসায় যেয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কি তা আদৌ সম্ভব?
এবার আসা যাক মহাপরিচালক স্যারের নির্দেশনার বিষয়ে। কিছু শিক্ষক ইনোভেশন হিসেবে হয়তো এমন প্রস্তাব করেছেন। ডিজি স্যারের নির্দেশনামূলক চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে যে, যেখানে সম্ভব সেখানে এই প্রকৃয়া চলতে পারে। কিন্তু এখন স্যারের নির্দেশনা পাশ কাটিয়ে প্রতিটি প্রাথমিক শিক্ষককে পরীক্ষা নিতে চাপ সৃস্টি করা হচ্ছে।
এখন কথা হচ্ছে যেখানে এইচএসসি পরীক্ষার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না, সেখানে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা তাও বাসায় অভিভাবকদের সহায়তায় দিয়ে কি উপকার হবে তা বোধগম্য নয়।
পরিশেষে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের এই অমানবিক সিদ্ধান্ত থেকে মুক্তি দিতে মাননীয় সচিব স্যার ও মহাপরিচালক স্যারের দৃস্টি আকর্ষণ করছি।
লেখকঃ সভাপতি (কেন্দ্রীয় কমিটি)
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষক সমিতি