করোনায় মৃত্যু ৮১২

Image

ডেস্ক,৯ফেব্রুয়ারীঃ
২০০৩ সালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসকে ছাড়িয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাস। ওই সময় ২৫টি দেশে আট মাসে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন।
আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্সকে ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এবার নিহতের সংখ্যায়ও সার্সকে পেছনে ফেলেছে করোনা। শনিবার পর্যন্ত চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ৮১২ জন।

শুধুমাত্র শনিবার চীনে করোনায় নিহত হয়েছেন ৮৯ জন। একইদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৬ জন। এ নিয়ে চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১২ জনে। এছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ২৫১ জনে।

তবে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন আশার কথা জানিয়ে বলেছে, করোনায় আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫১ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ম্যাকাওয়ের এবং একজন তাইওয়ানের। রোববার দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও পিপলস ডেইলি চায়নার।

শনিবার পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ড ছাড়াও হংকংয়ে ২৬ জন, ম্যাকাওয়ে ১০ জন এবং তাইওয়ানে ১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২৮ হাজার ৯৪২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে চীনের সকল প্রদেশে শনাক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। নিহতদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের। প্রদেশটির উহান শহর থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতাল নির্মাণ, করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কারে সরকারি অনুমোদনসহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আতঙ্কে জনমানবশূন্য ভৌতিক এলাকায় পরিণত হয়েছে চীনের একেকটি গ্রাম ও শহর।

রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উহান শহরে স্টেডিয়াম, কনফারেন্স সেন্টারসহ কয়েকটি ভেন্যুকে অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় শুরু থেকে তাদের অবহেলা ও দুর্বলতার কথা স্বীকার করেছে চীন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ২৩টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। বিভিন্ন দেশ বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ নজরদারি জারি করেছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে কাউকে সন্দেহ হলে তাকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।