৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের আশ্বাস।আন্দোলন স্থগিত

ডেস্ক,৮ জুলাই:
নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা।


আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের নিচে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ এর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বৈঠক শেষে আন্দোলনের আহ্বায়ক ঢাকা কলেজের ছাত্র মো. আবু বকর বলেন, উপাচার্য স্যার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ৯০ দিনের আগেই প্রকাশ করা হবে। তাই এ বিষয়ে বিশেষ পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে; যা বাস্তবায়ন করতে ৪-৬মাস সময় লাগবে এবং চলমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে আগের মতো দেরি হবে না।

আরও যেসব বিষয়ে উপাচার্যের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা

• গণহারে অকৃতকার্য যারা আছেন তাদের বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ও পুনর্মূল্যায়ন করা হবে এবং তার জন্য নিজ নিজ কলেজের ফোকাল পয়েন্টে যোগাযোগ/আবেদন করতে বলা হয়েছে।

• স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

• প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন ৭ কলেজের শিক্ষক দ্বারা করা হবে এবং প্রশ্নপত্রের ধরণ পরিবর্তন এবং পরীক্ষার সময় ৪ ঘণ্টা থেকে ৩ ঘণ্টা নির্ধারণ করে নোটিশ আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।

• একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে, যা চলতি সপ্তাহের ভেতর প্রকাশ করা হবে।

• সার্টিফিকেটে কোনো পরিবর্তন হবে না এবং প্রতিটি কলেজে ফোকাল পয়েন্ট খোলা হয়েছে যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক সমাধান পাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ- এই সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যয়নরত আড়াই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। একই বছর পরীক্ষার রুটিনের দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে দুই চোখ হারান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।