২০১৮ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত

ঢাকা: ২০১৮ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অtmp_91055ষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে সরকার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, শিক্ষানীতি ২০১০ আলোকে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর পর্যায়ক্রমে ৬ষ্ঠ হতে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের জন্য ২০১৩ সালে ৪৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেণি চালু করা হয়েছে। এবং এ সকল বিদ্যালয় ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে আরও ১৭৫টি স্কুল ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। বাকী বিদ্যালয় সমূহ ২০১৮ সাল নাগাদ ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে সরকার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

তিনি জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণি চালুকৃত বিদ্যালয়সমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। চালুকৃত বিদ্যালয়সমূহে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না করানো পর্যন্ত দুইজন বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষক সংযুক্তি/পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ। এবং এ সকল বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, দেশের ছিন্নমূল, শ্রমজীবী শিশু কিশোরদের পেশাগত দক্ষাতার জন্য কারিগরি শিক্ষা ও পুনর্বাসনে ১৯৮৯ সালে ৭৬টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ শুরু হয়েছে। তখন এর নাম ছিল পথকলি ট্রাস্ট।

মন্ত্রী জানান, ২০১৫ সালে ৯১টি স্কুলের মধ্যে ১৮ হাজার ২৮৫ জন ভাগ্যহত, সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র শিশু-কিশোরকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায় (২০১৩-১৭) এ ১৪৮টি উপজেলার ১৯ হাজার ২৬৮টি আনন্দ স্কুলে ছয় লাখ ২৪ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা শহরের বস্তি এলাকায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

তিনি জানান, শহর অঞ্চলে ৩০০টি শিখন কেন্দ্রে গড়ে ২৫ শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ হয়েছে। ঢাকার ৭৫টি শিখনকেন্দ্রে এক হাজার ৮৭৫ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

মন্ত্রী জানান, ঢাকায় বিভিন্ন কর্মরত পনেরশত গৃহকর্মী শিশুর শিক্ষাদানের ব্যবস্থার প্রকল্পের পাইলটিং পর্যায়ে রয়েছে। আনন্দস্কুলে থেকে নূন্যতম তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ১৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ট্রেড কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।