সেই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবশেষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ডেস্ক  : মোংলা উপজেলার ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা বাতিলের পেছনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ‘পরিমল চন্দ্র বালা’কে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় বদলি করা হয়। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুস্পজিৎ মণ্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,‘প্রাথমিক শিক্ষ অধিদফতরের মহা পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৭ জুলাই (মঙ্গলবার) তাকে বদলি করা হয়। পরিমল চন্দ্র বালা গত মার্চ মাসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে মোংলা উপজেলায় যোগদান করেন।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোংলা উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান,‘তিনি (পরিমাল চন্দ্র বালা) যে কাজ করেছেন তাতে এ শাস্তি (বদলি) হয় না, উচিত ছিল তাকে বরখাস্ত করা।’

উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মহিদুল ইসলাম জানান, পিইডিপি (প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্প-৩ এর আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মোংলা উপজেলার ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বছর ৪০ হাজার টাকা করে পায়। ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনার জন্য দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরেও এ খাতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।গত ২৭ জুন মোংলা উপজেলা হিসাব শাখা থেকে এ টাকার অনুমোদনসহ ছাড় করণের প্রয়োজনীয় কাগজ সোনালী ব্যাংক, মোংলা শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্ত পরিমল চন্দ্র বালা ৩০ জুনের মধ্যে না তোলায় ওই ২০ লাখ টাকা বাতিল হয়ে যায়।

এদিকে ভুক্তভোগি এক প্রধান শিক্ষক বিধান বৈরাগী জানান, বরাদ্দের টাকা আগে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা আগে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরন কিনতে শিক্ষদের নির্দেশ দেন। শিক্ষকরা তা কিনে রসিদসহ বরাদ্দের টাকা আনতে গিয়ে জানতে পারেন তাদের সে বরাদ্দের টাকা বাতিল হয়ে গেছে। এতে শিক্ষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে জানান তারা। আর এ ঘটনার জন্য তরা ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। পরে এঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি এর সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।

তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা  বলেন, ‘আমাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়নি, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সব জানেন।’

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।