সুস্থভাবে বাচতে হলে আপনার বেশি করে চুমু খাওয়া উচিত

স্বাস্থ্য ডেস্ক: kiss realচুমু খাওয়া শুধু আপনার আকর্ষণবোধ কিংবা আগ্রহই প্রকাশ করে না, বেশি করে চুমু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ও আপনার সঙ্গী থাকতে পারেন সুস্থ ও সবল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে শুধু মানসিক বিষয়ই নয়, ব্যাপক মাত্রায় শারীরিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত চুমু।

ফিটনেস এক্সপার্ট প্রাচী আগারওয়াল বলেন, ‘শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে হ্যাপি হরমোন নিঃস্বরণ করে। যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করে এবং আপনার শারীরিক মাপ ঠিক রাখে। এ ছাড়াও চুমু আপনার হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো এবং এটা আপনার দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।

১. মানসিক চাপ কমায়
চুমু খাওয়ার ফলে তা আপনার মন থেকে ডজনখানেক সমস্যার চিন্তা দূর করে দেয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি শরীরের শান্ত করার রাসায়নিক। এ ছাড়াও চুমুর ফলে আপনি গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, যা শরীরকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে।

২. তারুণ্য ধরে রাখবে
চুমুর ফলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির উদ্দীপনা হয়। এ ছাড়াও এর উপকারিতার মধ্যে রয়েছে আপনার কপালের ত্বক থেকে শুরু করে চোয়ালের মসৃনতা তৈরি পর্যন্ত। আপনার তারুণ্য অনুভব করতে এটি যেমন সাহায্য করবে তেমনি আপনাকে তা তরুণ দেখাতেও সাহায্য করবে। মুখের রক্তচলাচল বেড়ে যাওয়ায় এর মাধ্যমে আপনার মুখের দ্যুতি বেড়ে যাবে।

৩. ক্যালোরি ক্ষয়
আপনি যদি মনে করেন, শুধু জিম করা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় করা যাবে, তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খাওয়া হলে প্রতি মিনিটে মাত্রাভেদে এক থেকে দুই ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এ কারণে আপনি যদি দৈনন্দিন ফিটনেসের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রাখেন ‘চুমু’কে তাহলে তা খুবই কার্যকর হবে।

৪. দাঁতের ক্ষয়রোধ
অনেকেরই চুমু খাওয়ার আগে মুখ ও দাঁতের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন চুমুও দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চুমু স্যালভিয়া নিঃস্বরণ বাড়ায়। এটি অ্যাসিডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, খাবারের কনাগুলো সরিয়ে দেয় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।

৫. আপনার হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
চুমু খাওয়ার সময় কখনো আপনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর বেড়ে যেতে পারে হৃৎস্পন্দন। এতে হৃৎপিণ্ডের ব্যায়াম হবে। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে আরো কয়েকটি উপকার হয়। যেমন এটি আপনার হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন নিয়মিত হতে সাহায্য করে, রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ কারণে চুমুর মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক হৃৎপিণ্ড বজায় রাখা সম্ভব।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।