সমস্যা নিয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সঙ্গে বসবেন সৈয়দ আশরাফ

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাগত নানা সমস্যা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনার জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই তাদের সঙ্গে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যে সমস্যাগুলোর কথা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা উল্লেখ করেছেন তা আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা হওয়া সম্ভব। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) প্রতিনিধি সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন।
আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান প্রতিনিধি সভায় লিখিত বক্তব্যে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতি না হওয়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধসহ পেশাগত নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে এসব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবি পূরণের না হওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পদোন্নতিসহ নানা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও কীভাবে হয় না? তাহলে কোন দেশে আছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মানা হয় না, এটা আমরা কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। একটা আইনের শাসনের দেশ, সবকিছু আইন অনুযায়ীই চলবে। এটাই শেখ হাসিনার সরকার।’

সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি চিন্তা করেছি—আপনাদের সঙ্গে একটা বৈঠকের প্রয়োজন। যে বিষয়গুলো আপনারা উত্থাপন করেছেন, এগুলোকে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করব। কারণ আমি এমন কোনো কথা শুনিনি যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এটা তো ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। এই দৃষ্টান্ত তো শেখ হাসিনার সরকারের নেই। সে জন্য আপনাদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।’ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের হলরুমের নির্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এখানে একটা হলরুম ভাড়া নিয়ে আপনারা এটা করতে পারেন। যখনই আমাকে ডাকবেন, আসব। যত সময় দেওয়ার প্রয়োজন ততটুকু সময় দেব। কারণ এক দেশে তো দুই ধরনের আইন তো থাকতে পারে না। আমাদের দেশ আইনের দেশ। এখানে আইন মানতে হবে এবং আইনকে বাস্তবায়ন করতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এর কোনো বিকল্প নেই।’

সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আপনারা অনেকগুলো বিষয় এখানে উপস্থাপন করেছেন, তা সরকারের বিবেচনায় নেওয়া উচিত। কেন এগুলো বাস্তবায়ন হয় না, কোন কারণে এগুলো আলোর মুখ দেখে না—সেগুলো আমাদের খুঁজে দেখার প্রয়োজন আছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আপনাদের সঙ্গে বসার। এটা ১৫ দিনের মধ্যেই হতে পারে। যে বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখ করেছেন এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা হওয়া সম্ভব। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করব যে, আপনি নির্দেশ দেওয়ার পরও বাস্তবায়ন হয় না, তাহলে রাষ্ট্র কীভাবে চলবে?’

আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আইডিইবির কয়েক শ সদস্য প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।