সব প্রাথমিক শিক্ষককে একসাথে বদলী

ডেস্ক,২৬ফেব্রুয়ারীঃ

ছুটির সরকারি নির্দেশনা অগ্রাহ্য  করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দেয়ায় গুইমারা উপজেলার বুদংপাড়া  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলি করা  হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদেরকে বদলিকৃত বিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার  নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে  স্টুডেন্টস কাউন্সিল পরিদর্শনে আসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. নুরুল আমিন চৌধুরী। তিনি ওই দিন বেলা ৩টা ৪৫  মিনিটে বুদংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলতে  দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি হস্তান্তরিত বিভাগগুলোর প্রধান হিসেবে  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীকে অবহিত করেন জেলা  শিক্ষা কর্মকর্তা। সেদিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেলার  অন্তত ১৩টি স্কুল পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা  মেহের ইয়াসমিন জানিয়েছেন, বুদংপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পরামর্শ চাওয়া হয়।  পরবর্তীতে তার নির্দেশ অনুযায়ী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা  আক্তারসহ সব শিক্ষককে অন্যত্র বদলির আদেশ ২৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা হয়েছে।

গুইমারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা  হিটলারুজ্জামান জানান, সেদিন স্টুডেন্টস কাউন্সিল থাকায় বেলা ১টা পর্যন্ত  স্কুল খোলা ছিল। কিন্তু  ছুটির নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষকরা ছুটি দিয়ে  চলে যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুপারিশে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া  হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উষেপ্রু  মারমা বলেন, ‘স্টুডেন্টস কাউন্সিলের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিলাম। অথচ সময়ের  আগেই ছুটি দেওয়ার বিষয়টি জানা ছিল না।’

প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তারকে অপেক্ষাকৃত  দুর্গম এলাকা বলে পরিচিত পাশের উপজেলা মাটিরাঙার যতন কুমার সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তার স্থলে মাটিরাঙা  শ্মশানটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সজল কুমার ঘরজাকে  প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

এদিকে বুদংপাড়ার অন্য ৬ শিক্ষকের মধ্যে  সুধন চন্দ্র দে, রেজাউল করিম, মমতা রানী দত্তকে মাটিরাঙা এবং আফরোজা  চৌধুরী, রাবাই মারমা ও মাসুইনু মারমাকে গুইমারার অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী  স্কুলে বদলি করা হয়। প্রত্যেককে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে  যোগদান করতে আদেশক্রমে নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যথায় ১ মার্চ থেকে তারা বর্তমান  কর্মস্থল থেকে তাত্ক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

বুদংপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক শামীমা আক্তার জানান, স্টুডেন্টস কাউন্সিল শেষে শ্রেণি কার্যক্রম না  থাকায় বেলা ৩.৪৫ মিনিটে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, শামীমা আক্তার এ বছর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন।

সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।