আদালতের আদেশ সত্ত্বেও সেন্টমার্টিনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নতুন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ না করায় চার সচিবসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদক: যাদের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তারা হলেন- পরিবেশ ও বন সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাব্যবস্থাপক (এমডি), কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা পরিষদ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক এবং সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন।
মঙ্গলবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী এবং আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির শুনানিতে অংশ নেন।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির জানান, সেন্টমার্টিন একটি পর্যটন এলাকা। সেখানে ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ২০১১ সালে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে সেন্টমার্টিন এলাকায় বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ও শামুক রাক্ষায় নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়ন না করায় গত ২ ফেব্রুয়ারি চার সচিবসহ ১১ জনকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশের জবাব না পেয়ে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমনার আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি করে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয় বলে জানান বেলার এ আইনজীবী।