শিক্ষক নিয়োগে নতুন পদ্ধতির পরিপত্র শিগগির

এস কে দাস: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০০৫-এর বিধিমালা সংশোধন করে নতুনভাবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুসরণীয় পদ্ধতিসংক্রান্ত পরিপত্র জারির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে।
শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এসআরও বা নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে অনেক বিষয় খোলাসা করা নেই, তাই খুঁটিনাটি বিষয়ের জন্য পরিপত্র জারি করা প্রয়োজন। পরিপত্রটি শিগগিরই জারি করা হবে।
খসড়া পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির অনুমোদনক্রমে প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী বছরে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়োগ/পূরণযোগ্য পদের একটি চাহিদাপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার নিজ উপজেলার সব প্রতিষ্ঠানের চাহিদা একীভূত করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি সমন্বিত চাহিদাপত্র জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা অফিসার ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি সমন্বিত চাহিদাপত্র এনটিআরসিএ-তে পাঠাবেন।
তারা প্রতিবছর প্রার্থী বাছাইসংক্রান্ত সব পরীক্ষা (এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক) গ্রহণ করবে এবং প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী বিষয় ও উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম প্রণয়ন করে ফলাফল ঘোষণা করবে।
পরিপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হবে, ইতোপূর্বে পাশ করা সব প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মেধা তালিকা প্রণয়ন করবে এনটিআরসি-এ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব যেমন, বিষয়, সংখ্যা, নিয়োগের সম্ভাব্য সময় ইত্যাদি উল্লেখসহ এনটিআরসিএতে পাঠাবে। এনটিআরসিএ উক্ত প্রস্তাব পাওয়ার পর মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীর মেধা তালিকা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন।
এ ছাড়াও পরিপত্রে থাকছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রণয়নের সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলার মেধা তালিকায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে জেলা মেধাতালিকা থেকে এবং তা-ও না পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় ও জাতীয় মেধাতালিকা পর্যন্ত বিবেচনা করা যাবে। মেধাতালিকা বিবেচনার ক্ষেত্রে পূর্বের তালিকাকে পরবর্তী তালিকার উপর প্রাধান্য দিতে হবে।
এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে যেতে চান তবে উভয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মতিক্রমে ক্ষেত্র বিশেষে নিজ উপজেলা বা জেলা শিক্ষা অফিসার বা আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসারের কছে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত দিবেন।
এছাড়াও থাকছে, ইতোপূর্বে পাশ করা নিবন্ধন প্রার্থীদের সনদের মেয়াদ এসআরও জারির তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকার বিষয়টি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।