ঢাকা : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনুসরণীয় পদ্ধতি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির।
সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাফায়েত জামিল ও মো. আল আমিন।শিক্ষা সচিব, এনটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিস্ট ৭ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী সম্প্রতি ১২ হাজার ৬১৯ জন শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে বগুড়ার আদমদিঘী রহিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে মার্কেটিংয়ের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান জাকিয়া শামীম আরা।
আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানান, নিয়োগ পাওয়া শামীম আরা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ৫৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। অথচ ওই পদের জন্য আবেদনকারী অপর প্রার্থী আশরাফুল আলম ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এর কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায় ওই প্রার্থী তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ‘পিক এ্যান্ড চোজ’ পদ্ধতিতে। ২০১৫ সালের পরিপত্রে এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো মানদণ্ড নাই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকেই এখানে চূড়ান্ত বলা হয়েছে। যা ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০০৬-এর বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
মূল বিধিমালার সঙ্গে পরিপত্রের এই বিধান সাংঘর্ষিক হওয়ায় শামীম আরার নিয়োগ ও পরিপত্রে জারি করা নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন আরেক নিয়োগ প্রত্যাশী আশরাফুল আলম।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই রুল জারি করেন। পাশপাশি আদালত ওই কলেজে নিয়োগ পাওয়া জাকিয়া শামীম আরার নিয়োগও স্থগিত করেন বলে জানান আইনজীবী হুমায়ুন কবির।
by