লালমনিরহাটে ২ শিক্ষককে পিটিয়ে আহত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ২০ ফেব্রুয়ারী :

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে কমিটির লোকজন।

আজ সোমবার বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আহত শিক্ষকরা। এর আগে সকালে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষকরা জানান, কালীগঞ্জের খন্ডরচড়া বহুমুখী উচ্চ বিদালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের সঙ্গে সাবেক সভাপতি গোলজার হোসেন মিন্টুর বেশ কিছু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিগত কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটিতে সাবেক কমিটির সভাপতি গোলজার হোসেন মিন্টুকে না রাখায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে বিদ্যালয় যাওয়ার পথে সহকারী প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ কুমারের উপর হামলা চালায় সাবেক সভাপতি গোলজার হোসেন মিন্টুর লোকজন। এর আগে রোববার প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের উপরও হামলা চালানো হয়।

স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ইন্দ্রজিৎ কুমারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কতিপয় লোকজন অহেতুক আমার ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা করেছে। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। বিষয়টি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’

এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করা হবে বলে জানান প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। এ ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, ‘মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।