নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপন করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ অঙ্গীকারের ঘোষণা দিয়েই দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারা রঙিন পোশাক পরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার র্যালির পর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একে একে চলতে থাকে নাচ-গান, বাউল সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীতের আয়োজন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বাউল সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত, নাচ-গানসহ বিস্তারিত কর্মসূচির পাশপাশি পুতুলনাচের আয়োজন করা হয়। ইউল্যাব চৈত্র সংক্রান্তিসহ পয়লা বৈশাখের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ আলপনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার র্যালিতে ব্যানার ও ফেস্টুন ব্যবহার করা হয়েছে। রঙিন পোশাকে অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুলড্রেস পরেও মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন সদরে কেন্দ্রীয়ভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বৈশাখের আয়োজনের দাবি জানান রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অঙ্গনেই থাকবে নাকি রমনা এলাকায় র্যালিতে নিয়ে যাওয়া হবে, তার একটা নির্দেশনা প্রয়োজন। নিরাপত্তা থাকতে হবে র্যালির জন্য। ব্যাপকভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা করার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।
মোহাম্মদপুরের সরকারি গ্রাফিকস আর্টস কলেজের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মো. আয়েত আলী বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সরকার থেকে ১৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ টাকা দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তারপরেও শিক্ষক-ছাত্রদের সহায়তায় অনুষ্ঠান করা হয়েছে। আমরা সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।
by